সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ইভিএম-এর পরিবর্তে ব্যালট পেপারে ভোটের আর্জি মঙ্গলবার খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার শুনানিতে পালটা মামলাকারির কাছে আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আপনারা যখন এই ইভিএমে নির্বাচন জেতেন তখন কারচুপি হয় না! তখন তো আপনারা এই বিষয়ে কিছু বলেন না।'
সম্প্রতি হরিয়ানা হোক বা মহারাষ্ট্র। নির্বাচনে হারের পর ইভিএমের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। আগেও এই বার বার হারের কারণ হিসেবে ইভিএমকে দায়ী করা হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে এহেন অভিযোগ পত্রপাঠ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিবারই। এই পরিস্থিতিতে ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট করানোর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ডা. কেএ পাল নামে এক আইনজীবী। মঙ্গলবার এই মামাওলার শুনানি চলছিল বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি পিবি বরালের বেঞ্চে। যেখানে মামলাকারী এমন মাস্কের বক্তব্য তুলে ধরে জানান, ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব। এমনকি ১৮টি রাজনৈতিক দল এই দাবিকে সমর্থন করেন। চন্দ্রবাবু নাইডু ও জগনমোহন রেড্ডির মতো নেতারাও জানিয়েছেন এটা সম্ভব।
মামলাকারীর এহেন আবেদন শোনার পর বিচারপতি বিক্রম নাথ বলেন, "যখন চন্দ্রবাবু নাইডু বা জগনমোহন রেড্ডিরা ভোটে হেরে যান তখন ওনারা বলেন, ইভিএমে কারচুপি হয়েছে। কিন্তু জিতে যাওয়ার পর কখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন না। তখন ইভিএমে কোনও ত্রুটি নজরে পড়ে না। এবার আপনি বলুন এই বিষয়টিকে আমরা কীভাবে দেখব?"
শুনানিতে অন্যান্য একাধিক দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন মামলাকারী। তিনি বলেন, "পৃথিবীর সব দেশে হয় এভিএম অথবা ব্যালটেই ভোট গ্রহণ করা হয়। আমেরিকাতেও ব্যালটে ভোট হয়। আমি রাশিয়া, লাইবেরিয়ার মতো দেশেও গিয়েছি। পৃথিবীর ১৯৭টি দেশের মধ্যে ১৮০টি দেশে ব্যালটেই ভোট গ্রহণ হয়। আমাদেরও উচিৎ সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা। আজ সংবিধান দিবস আবেদন জানাব এই বিষয়ে কোনও নোটিস জারি করুক আদালত।'' যদিও বিচারপতি বলেন, "আপনি রাজনীতির মাঠে কেন নামছেন? অন্য দেশকে অনুসরণের প্রয়োজন কী?" এর পরই এই মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি।