অভিরূপ দাস: প্রয়াত কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র (EX Deputy Mayor) ইকবাল আহমেদ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। গত চার বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে খুব বেশি বাইরে বেরোতে পারতেন না। বছর সাতেক আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় কলকাতা পুরসভার (KMC) ডেপুটি মেয়র পদ খুইয়েছিলেন তিনি। সেই তিনিই শুক্রবার প্রয়াত হলেন। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee)।
খানাকুলের প্রাক্তন বিধায়ক ইকবাল আহমেদ (Iqbal Ahmed) সম্পর্কে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদের ভাই। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের (WB Assembly Election) আগে শাসকদল তৃণমূলের যে কয়েকজন নেতা, মন্ত্রীরা নারদ কাণ্ডে (Narada Scam) স্টিং অপারেশনে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সুলতান আহমেদ। তাঁকে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্ততকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তাঁর ভাই ইকবালকেও একই ইস্য়ুতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর সুলতান আহমেদের মৃত্যু হলে তাঁর স্ত্রী সাজদা উপনির্বাচনে জিতে উলুবেড়িয়ার সাংসদ হন। তবে ইকবাল আহমেদকে বার বারই ইডির (ED) মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারই মাঝে তিনি পুরসভা ডেপুটি মেয়র পদের দায়িত্ব পান। কিন্তু অসুস্থতার জেরে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ রাহুল গান্ধী’, ইন্ডিয়ার ‘মুখ’ নিয়ে জল্পনার মাঝেই বার্তা খাড়গের]
প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি খেলার (Sports)মাঠের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে যুক্ত ছিলেন ইকবাল আহমেদ। মহামেডান ক্লাবের (Mohameddan Sporting Club) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রায় ২৩ বছরের। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রেড রোডের ধারের ক্লাবও। মহামেডান ক্লাবে গ্রাউন্ড সেক্রেটারি হিসেবে শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি ফুটবলসচিব হন সাদা-কালো শিবিরের। ২০০১ সাল থেকে মহামেডান ক্লাবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল এদিন। ইকবাল আহমেদের রং হারাল কলকাতা ময়দান।