সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা আড়াই দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটেছে ত্রিপুরায়। তার মধ্যে প্রায় কুড়ি বছর ক্ষমতায় ছিলেন মানিক সরকার। কিন্তু এবারের জনাদেশ উলটো। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে প্রবীণ এই বাম নেতাকে। ছেড়ে দিতে হচ্ছে তাঁর সরকারি বাসভবনও। এবার থেকে তাই পার্টি অফিসকেই নিজের আস্তানা করে তুলছেন তিনি।
[ গরিবদের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাব, পরাজয়েও ভেঙে পড়েননি মানিক ]
তিনিই দেশের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে সমীক্ষায় সে তথ্যই উঠে এসেছিল। এখন আর তিনি মুখ্যমন্ত্রী নেই। নিয়মমতো ইস্তফা দিয়েও দিয়েছেন। ছেড়ে দিয়েছেন সরকারি সুযোগ-সুবিধা, বাসভবনও। আর তার পরে নিজের জন্য পৃথক কোনও বাড়ির খোঁজ করেননি তিনি। আপাতত ঠিক করেছেন, সিপিএম রাজ্য কমিটির অফিসের একখানা কামরাতেই সস্ত্রীক থাকবেন। ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর জানাচ্ছেন, রাজ্য পার্টি অফিসের গেস্ট হাউসের এক কামরা ঘরেই আপাতত মানিকবাবুর সংসার। ক্যান্টিনে যা রান্না হবে তাই খাবেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলে বাড়তি কোনও সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। ইতিমধ্যেই বইপত্র ও অন্যান্য জিনিস সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নিজেও সেখানে গিয়ে উঠবেন শীঘ্রই।
[ মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের শাস্তি ফাঁসি, নারী দিবসে সওয়াল শিবরাজের ]
কোনদিনই বিলাসবহুল জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন না। তাঁর সাদামাটা জীবনযাত্রা শ্রদ্ধা অর্জন করেছিল বহু মানুষের। নির্বাচনী অঙ্কে তিনি ক্ষমতায় আসতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু মানিকবাবুর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা টলেনি। তাঁর এই সিদ্ধান্তে সে শ্রদ্ধা যেন আরও একটু বাড়ল। ইতিমধ্যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার প্রস্তুতি সারা। সাধারণত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সরকারের তরফেই নয়া বাসভবন দেওয়া হয়। মানিকবাবুকে তা দেওয়া হবে কিনা এখনও জানা যায়নি। এবং দেওয়া হলেও তা তিনি আদৌ গ্রহণ করবেন কিনা, তাও নিশ্চিত নয়। সরকারি বাসভবন ছাড়ার পর নিজের জন্য কোনও ঘরের খোঁজও করেননি। দলই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। তাই দলীয় কার্যালয়েই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মানিকবাবুর স্ত্রী এর আগে পিটিআই-কে জানিয়েছিলাম, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সমস্ত বইপত্র পার্টি অফিসের লাইব্রেরির জন্য দান করেছেন।
[ ‘ছেলেরা পরনের জিনসই সামলাতে পারে না, বোনকে কী করে রক্ষা করবে?’ ]
The post পাঠিয়ে দিয়েছেন বইপত্র, পার্টি অফিসই এখন ঠিকানা মানিক সরকারের appeared first on Sangbad Pratidin.