গৌতম ভট্টাচার্য: ভণিতা শব্দটা পছন্দ নয় অভিনেত্রী ও বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হোক কিংবা রাজনীতির মঞ্চে লোকে তাঁকে ঠোঁটকাটা বললেও, নিন্দুকদের পাত্তাই দেন না তিনি। বরং নিজের শর্তে বাঁচাটাই তাঁর কাছে একমাত্র মুখ্য বিষয়। জীবনের সন্তোষ ও অসন্তোষ নম্বরের মাপকাঠিতে মাপতে বলা হলে, রূপার স্পষ্ট উত্তর, ”দুটোই একশো! জীবনে কী কী পাইনি তা নিয়ে ভাবতে বসলে, বড্ড কষ্টে জীবন কাটবে। তার থেকে কী কী পেয়েছি তার হিসেব রাখা ভাল।”
মহাভারতের দ্রৌপদী কিংবা বলিউডের হাতে গোনা কয়েকটি ছবির নায়িকা। দাপুটে অভিনেত্রী হয়েও, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ঝুলিতে ছবির সংখ্যা বিরাট কিছু নয়।। তবে শুধুই যে অভিনয় তা নয়, ‘অবশেষে’ ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারও। তবে এ সবের বাইরে রূপার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা মুণির নানা কথা। নিন্দুকরা হামেশাই গুঞ্জনে ব্যস্ত। সিঁথিতে কেন সিঁদুর পরেন, তা নিয়েও নানা মহলে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রূপা স্পষ্টই জানালেন, তাঁর এই সিঁদুর পরার নেপথ্যের কারণ।
[আরও পড়ুন: Shaoli Mitra: ‘শিরদাঁড়া সোজা রেখে চলতে শিখিয়েছিলেন’, শোকস্তব্ধ শাঁওলি মিত্রর ‘মানসকন্যা’ অর্পিতা ঘোষ]
কী বললেন রূপা? অভিনেত্রীর কথায়, ‘দুটো কারণে আমি সিঁদুর পরি।এক, আমার পরিবারের সুস্থতা যাঁরা কামনা করেন, তাঁরা যেন ভাল থাকেন। আর দ্বিতীয়, নিজেকে সিঁদুর পরে দেখতে আমার খুব ভাল লাগে।’ বিয়ের স্ট্যাটাস নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে সিঁথির সিঁদুর দেখে মানুষজনের মন্তব্যকে একেবারেই পাত্তা দিতে চান না অভিনেত্রী। রূপার কথায়, ‘এক সময় তো আমার মুখের ব্রণ দেখেও লোকে নানা কথা বলত! আমি সবার সুস্থতা কামনার জন্য সিঁদুর পরি। আমার সিঁদুর পরতে ভাল লাগে।’