সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইভিএম খোলা হতেই ধাক্কা লেগেছিল শেয়ার বাজার সূচকে। মঙ্গলের সাতসকালে অমঙ্গল শেয়ারে লগ্নিকারীদের। কারণ, সকাল থেকেই ক্রমে পতন সেনসেক্স এবং নিফটিতে। একসময় পতনের অঙ্ক ছহাজার পার করে যায় যা সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি। রাতারাতি বাজার থেকে উধাও ৩০ লক্ষ কোটি টাকা। তবে এর প্রায় পুরোটা রীতিমতো প্ল্যান করে তৈরি করা বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
শনিবার শেষ দফার ভোটের পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সমীক্ষা সংস্থার করা এগজিট পোলে দেখা গিয়েছিল বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। যা মঙ্গলবার সকালে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে যায়। এনডিএ-র সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। যার জেরে পতন হতে থাকে শেয়ার বাজার সূচকেও। তবে শনিবারের এগজিট পোলে বিজেপি তথা এনডিএ-এ বিপুল ভোটে এগিয়ে রাখা নাকি আদ্যন্ত একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত বা কেলেঙ্কারি বলেই জানা যাচ্ছে। এগজিট পোলের ফল দেখেই গত দুদিন শেয়ার বাজারে যে গতি এসেছিল সেই গতি আনতেই নাকি ইচ্ছাকৃত বেশি আসনের সম্ভাবনা বার্তা শোনানো হয়েছিল। এবং বাজারে গতি এনে মুনাফাও ঘরে তুলে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির শপথ ৮ জুন! আজই এনডিএ সঙ্গীদের সমর্থন প্রার্থনা বিজেপির]
এগজিট পোলের ফলে দেখা গিয়েছিল, প্রায় চারশো আসন ছুঁয়ে ফেলতে পারে এনডিএ। তার ভিত্তিতেই একলাফে দুহাজার পয়েন্টেরও বেশি বেড়ে যায় সেনসেক্স। সর্বকালের সেরা সূচক ছুঁয়ে ফেলে। নজির গড়ে নিফটির সূচকও। কিন্তু মঙ্গলবার ভোটগণনা শুরু হতেই পালটে যায় ছবিটা। সেখান থেকেই শুরু হয় শেয়ার বাজারের পতন। বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে ২ হাজার ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স। যত বেলা গড়িয়েছে ততই শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। একটা সময়ে ছহাজারেরও বেশি পড়ে গিয়েছিল সেনসেক্স। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কোভিড অতিমারীর পর থেকে এত খারাপ অবস্থা হয়নি বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের। গত চার বছরে এটাই ছিল শেয়ার বাজারের নিকৃষ্টতম পারফরম্যান্স। পরিসংখ্যান বলছে, ১৩ শতাংশ লোকসান হয়েছে পিএসইউ ব্যাঙ্কের শেয়ারে। বড় ক্ষতি হয়েছে আদানি গোষ্ঠী এবং রিলায়েন্স গোষ্ঠীর।