স্টাফ রিপোর্টার: পকেটে উচ্চ মাধ্যমিকের ডিগ্রি৷ অথচ চেম্বারের সাইনবোর্ডে বড় বড় হরফে লেখা ‘এমবিবিএস’৷ দিনের পর দিন এভাবেই চলছিল লোক ঠকানোর কারবার। পঞ্চসায়রের ‘ভুয়ো’ চিকিৎসক মহম্মদ আকবর আলি অবশ্য নিজকে বাঁচাতে পারলেন না৷ তাঁর এই কুকীর্তির হদিশ মিলেছিল কয়েকদিন আগেই৷ জানতে পেরে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে৷ বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার পঞ্চসায়র এলাকার শহিদ স্মৃতি কলোনি থেকে ওই ‘জাল’ ডাক্তারকে জালে তোলে পুলিশ৷ শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়৷
[ম্যাল থেকে হাসপাতাল, মমতার তৎপরতায় ছন্দে ফিরছে পাহাড়]
বেলভিউ থেকে বর্ধমান। প্রতিদিন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসছে ডাক্তারদের জালিয়াতির কিসসা। এবার খাস কলকাতায় আরও এক কীর্তিমানের খোঁজ মিলল। যিনি পঞ্চসায়রে ডাক্তার পরিচয়ে দিব্যি পসার জমিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু ভুয়ো চিকিৎসক নিয়ে সাম্প্রতিক তৎপরতায় সেই মৌরসিপাট্টায় দাঁড়ি পড়ল। গুণধর ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ আকবর আলি। যাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা টেনেটুনে উচ্চ মাধ্যমিক। ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে গত তিন বছর ধরে আকবর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ৷ সিআইডি-র হাতে কলকাতা থেকে পরপর বেশ কিছু ভুয়ো ডাক্তার ধরা পড়ে৷ কলকাতা পুলিশের কাছেও শহরের ভুয়ো ডাক্তারদের বিষয়ে একাধিক তথ্য আসতে শুরু করে৷ সম্প্রতি পঞ্চসায়র থানার আধিকারিকদের কাছে খবর আসে, আকবর আলি নামে ওই ব্যক্তি বাঘাযতীনের শহিদ স্মৃতি কলোনির একটি চেম্বারে বসে ডাক্তারি চালাচ্ছেন৷ প্রেসক্রিপশন ও সাইনবোর্ডে নামের পাশে ঘটা করে রয়েছে ‘এমবিবিএস’ ডিগ্রির উল্লেখও৷ দিনের পর দিন তার কাছে ভিড়ও করেছেন রোগীরা৷
ওই ডাক্তারের সাম্প্রতিক কিছু প্রেসক্রিপশনে রোগীদের একাংশের মনে সন্দেহ জাগে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার বক্তব্য, মহম্মদ আকবর আলি তাঁদের পরীক্ষা করার পর বেশ কিছু ওষুধ দেন৷ কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পর তেমন কাজ দেয়নি৷ রোগীদের পরিবার মারফত খোঁজখবর শুরু করে কলকাতা পুলিশ৷ তাতেই পর্দাফাঁস। অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের কোনও বৈধ শংসাপত্র মেলেনি৷ অথচ আকবর ঘনিষ্ঠদের এমবিবিএস-এর ‘ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট’ রয়েছে বলে বরাভয় দিয়েছিলেন। রোগীদের ম্যানেজ করতে পারলেও এ যাত্রায় পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেলেন না এই গুণধর ডাক্তার।
[পাহাড়ের অশান্তি নিয়ে হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা]
The post এবার পাটুলি থেকে ধৃত আরও এক ভুয়ো ডাক্তার appeared first on Sangbad Pratidin.