অর্ণব আইচ: কলকাতা পুরসভায় (KMC) চাকরি দেওয়ার নাম করে ফের জালিয়াতি শহরে। ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের জালিয়াতির আদলেই বানানো হয়েছিল পুরসভার ভুয়ো নিয়োগপত্র। পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতেই মধ্য কলকাতার (Kolkata) নিউ মার্কেট থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল এক ব্যক্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম রাজীব মল্লিক। ওই ব্যক্তি এক পুরসভারই কর্মী। কিন্তু বহুদিন ধরেই সে কর্মরত অবস্থায় না থাকায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হয়। তার বেতনও বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে সে জালিয়াতিতে নেমে পড়ে। চাকরিপ্রার্থী এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রাজীব নিজেকে পুরসভার আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে বলে, সে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারে। কিন্তু তার জন্য তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। অবশ্য হাতে নিয়োগপত্র পেলেই এই টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়। চাকরিপ্রার্থী যুবক এতে রাজি হয়ে যান।
[আরও পড়ুন: রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিক পরিচয়ে আর্থিক প্রতারণা! দায়ের FIR]
সম্প্রতি যুবককে পুরসভার কাছে ডেকেই নিয়োগপত্রটি দেওয়া হয়। তাতে এক পুরকর্তার সইও ছিল। কিন্তু নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ হয় যুবকের। তিনি তখনই টাকা দিতে রাজি না হয়ে একটু সময় নেন। তিনি ওই নিয়োগপত্রটি তাঁর এক বান্ধবীকে দেখান। ওই যুবতী তাঁর পরিচিত এক পুর আধিকারিককে নিয়োগপত্রটি দেন। ওই পুর আধিকারিকেরও সেটি দেখে সন্দেহ হয়। তিনি কলকাতা পুরসভার এক কর্তাকে সেটি দেন। তিনি ওই নিয়োগপত্রটি দেখেই বলেন যে, সেটি জাল। ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জন দেব যেভাবে নিজেকে পুরকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে কলকাতা পুরসভাকে ঘিরে একের পর এক জালিয়াতি করে চলেছে, তাতে রীতিমতো সতর্ক পুরসভার কর্তারা।
তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাপারে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে ফাঁদ পাতে। সোমবার পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে রাজীব মল্লিক নামে ওই ‘পুরকর্মী’। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাকে ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। তাকে জেরা করে এই জালিয়াতির পিছনে অন্য কেউ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।