সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০র স্মৃতি উসকে ফের ‘দিল্লি চলোর’ ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। মূলত তিন দফা দাবি নিয়ে রাজধানীতে বিশাল পদযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে। মিছিলের আগের দিন কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু গোটা আলোচনাই ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়ে দেন কৃষক নেতা। তার পর থেকেই কৃষকদের রুখতে দিল্লির (Delhi) সীমানাকে কার্যত দুর্গে পরিণত করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে কৃষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চণ্ডীগড় যান কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দুপক্ষের আলোচনা হয়। রাত এগারোটা কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের জানান, প্রতিবাদ মিছিলের সিদ্ধান্তে অটল তাঁরা। কারণ কৃষকদের দাবি মানছে না সরকার।
[আরও পড়ুন: আবু ধাবি সফরে মোদি, প্রধানমন্ত্রীর ‘বিকশিত ভারতের’ কথা শুনবেন হাজার হাজার প্রবাসী]
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্ট প্রত্যাহার করবে সরকার। সেই সঙ্গে লখিমপুরে মৃত কৃষকদের পরিবারকে সাহায্য করা হবে। প্রতিবাদী কৃষকদের (Farmer’s Protest) বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত এফআইআরও খারিজ করা হবে। কিন্তু কৃষকদের মূল তিনটি দাবিই পূরণ হয়নি। বৈঠক শেষে পান্ধের জানান, “দুবছর আগে সরকার আশ্বাস দিয়েছিল যে আমাদের অর্ধেক দাবি লিখিতভাবে মেনে নেওয়া হবে। শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা মেটাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এই সরকার আমাদের সময় নষ্ট করছে।
সমস্ত রকম চাষের জন্য নূন্যতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার আইন, কৃষক ঋণ মকুব করার পাশাপাশি স্বামীনাথন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ কার্যকর করতে হবে- মূলত এই তিন দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন কৃষকরা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে কৃষকরা বিরাট সংখ্যায় দিল্লিতে এসে মিছিলের পরিকল্পনা করেছেন। তার পরেই সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ব্যারিকেড আর কাঁটাতার দিয়ে পথ আটকে দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। এক মাসের জন্য জমায়েতও নিষিদ্ধ হয়েছে দিল্লিতে। একইভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার সীমানাও।