সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা ধরে তৈরি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিমেষে গুড়িয়ে দিয়ে হরিয়ানা সীমান্তে প্রবেশ করেছিলেন কৃষকরা। তারপর বহু বাঁধা, বহু পুলিশি ব্যারিকেড, কনকনে ঠান্ডায় হিমশীতল জল, কোনও কিছুই পথ আটকাতে পারেনি তাঁদের। হরিয়ানা (Haryana) পেরিয়ে আজ দিল্লির পথে হাজার হাজার ‘অন্নদাতা’। কিন্তু তাঁরা যাতে কোনওভাবেই সীমানা পেরিয়ে রাজধানীর বুকে প্রবেশ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না প্রশাসন।
হরিয়ানা থেকে দিল্লি যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুই রাজ্যের সমস্ত সীমান্ত কার্যত সিল। তাও আবার কড়া নিরাপত্তায়। প্রথমে হরিয়ানার অন্দরে কৃষকদের পথ আটকাচ্ছে হরিয়ানা পুলিশ। তারপর রয়েছে দিল্লি পুলিশ এবং সিআরপিএফের জওয়ানরা। ‘অন্নদাতা’দের বিক্ষোভ রুখতে দিল্লির শীতল আবহাওয়াতে আরও ঠান্ডা জল জলকামানের মাধ্যমে ছোঁড়ার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় তা ব্যবহারও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকরা হরিয়ানা-সিঙ্ঘু সীমান্তে পৌঁছেও গিয়েছেন। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ব্যবহার করা হচ্ছে জলকামান, টিয়ার গ্যাস। কিন্তু কোনও কিছুতেই যেন আজ বাঁধ মানতে চাইছেন না কৃষকরা।
[আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভ ঘিরে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় ধুন্ধুমার, জলকামানেও রোখা গেল না চাষীদের]
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা (Farmer’s Protest) ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছেন। গতকালই এই ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে যোগ দিতে পাঞ্জাব থেকে হাজার হাজার কৃষক রওনা দিয়েছেন হরিয়ানা পেরিয়ে দিল্লির উদ্দেশে। মাঝে হরিয়ানা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটকানোর সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। ব্যারিকেড দিয়ে, জলকামান ব্যবহার করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু অদম্য জেদ নিয়ে কৃষকরা সেই বাধা পেরিয়ে এখন দিল্লি সীমান্তে। করোনায় নাজেহাল দিল্লির (Delhi) সবক’টি বর্ডার সিল করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার।