সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর কৃষকদের বিক্ষোভ কমার বদলে যেন আরও তীব্রতর হল। বুধবার লোহরি উপলক্ষে দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা বিতর্কিত তিন আইনের (Farm Laws) প্রতিলিপি পুড়িয়ে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখালেন। উদ্দেশ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানো। কৃষক সংগঠগুলির নেতারা দাবি করছেন, এক-আধটা নয়। এদিন বিতর্কিত কৃষি আইনের লক্ষ লক্ষ প্রতিলিপি পুড়িয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর র্যালির প্রস্তুতিও পুরোদমে চলছে। তাঁদের দাবি, এই প্রতীকী প্রতিবাদ শাসকদলের উপর চাপ আরও বাড়াবে।
কেন্দ্রের শাসক দল তথা বিজেপির (BJP) জোট শরিকরা অবশ্য কৃষি আইন নিয়ে এমনিতেই বেশ চাপে। পাঞ্জাব তো বটেই হরিয়ানাতেও কৃষক আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, হরিয়ানার ৬০টিরও বেশি গ্রামে নাকি বিজেপি এবং জেজেপি (JJP) নেতাদের প্রবেশই করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি তথা জেজেপি বিধায়ক এবং নেতারা যাতে প্রবেশ করতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে গ্রামের বাইরে রীতিমতো নোটিস ঝোলানো হয়েছে। স্থানীয় কৃষক সংগঠনগুলি নেতাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। যা কিনা হরিয়ানার জোট সরকারকে রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে। একাধিক বিধায়ক ইতিমধ্যেই সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে। চাপে পড়ে গতকালই আসরে নামতে হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি। আজ উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা (Dushyant Chautala) নিজেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দ্বারস্থ হয়েছেন। হরিয়ানা যে ক্রমশ কৃষক বিক্ষোভের এপিসেন্টার হয়ে যাচ্ছে, তা স্বীকার করে নিচ্ছে শাসক শিবিরও।
[আরও পড়ুন: ‘কৃষকরা নিজেরাই জানেন না তাঁরা কী চান’, বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনীর মন্তব্যে বিতর্ক]
আসলে, এই আইনগুলির ভালমন্দ খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) যে কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ্যে আসায় বিক্ষোভের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কৃষকদের সংঠনগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যে চার সদস্যের কমিটিকে কৃষি আইনগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই সরকার ঘনিষ্ঠ। এবং কেন্দ্রের এই নয়া আইনের সমর্থক। তাই এঁদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা তাঁরা করবেন না। যদিও, শীর্ষ আদালত নির্ধারিত কমিটির সদস্য অনিল ঘানওয়াত এদিন দাবি করেছেন, তাঁরা এই আইনের নিরপেক্ষ পর্যালোচনা করবেন। কৃষকদের দাবিগুলিকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে।