শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ক্যানসার আক্রান্ত মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছিল। তাই তো মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় এসে চিকিৎসক দেখানো হচ্ছিল। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিল সে। কিন্তু একেই বোধহয় বলে নিয়তি। তাই তো ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ক্যানসার আক্রান্ত মেয়ের। প্রাণ হারালেন তাঁর বাবাও। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি একই পরিবারের আরও চারজন। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের চশকাপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে।
বছর আঠারোর নাদিমা তাবাসসুমের ক্যানসার ছিল। চিকিৎসা করতে সপরিবারে কলকাতার টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে গিয়েছিলেন পেশায় রেশন ডিলার শহিদুল ইসলাম ওরফে সাহেব নামে ওই ব্যক্তি। তিনি তিনপাকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। লকডাউন জারি থাকায় বুধবার রাতেই কলকাতা থেকে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালেই বাড়ি পৌঁছনোর কথা তাঁদের। ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁদের গাড়ি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের চশকাপুরে পৌঁছয়। সেই সময় চশকাপুর এবং নতুন ডাকবাংলা মোড়ের মাঝামাঝি জায়গায় একটি লরি দাঁড়িয়েছিল। ওই লরিতেই ধাক্কা মারে স্করপিওটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ক্যানসার আক্রান্ত মেয়ের। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় বাবা শহিদুল ইসলামেরও।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে চলছে পরপর দু’দিনের লকডাউন, শুনশান রাস্তাঘাট, মোড়ে মোড়ে জারি নাকা তল্লাশি]
জখম নাসিমা বিবি, নুরাইন সুলতানা, আসিফ হোসেন ও তাঁদের গাড়ির চালক হরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি। তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
[আরও পড়ুন: যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন, সেই যুবককেই অপহরণ করে বিয়ের চেষ্টা তরুণীর!]
The post ক্যানসার আক্রান্ত সন্তানকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে বিপত্তি, দুর্ঘটনার বলি বাবা এবং মেয়ে appeared first on Sangbad Pratidin.