অর্ণব আইচ: ‘ভূতের’ ভয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন প্রৌঢ়া। রাতে বীভৎস মুখওয়ালা সব ‘ভূত’ (Ghost) নাকি তাঁকে ভয় দেখাতে আসে। তবে তারা যে ঠিক ‘ভূত’ নয়, বরং মানুষ-ভূত, তাও দিব্যি জানেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, এলাকার কিছু যুবক তাঁকে মুখোশ পরে ও বিভিন্নভাবে ‘ভূতের’ ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার বিবেকানন্দ পার্ক এলাকার বাসিন্দা। পুলিশকে বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তিনি বাড়িতে একাই থাকেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, গত দু’মাস ধরে এই সমস্যার শুরু হয়েছে। মাঝেমধ্যেই তাঁর বাড়ির চারপাশে ঘুরে বেড়ায় কারা। বাড়ির গাছের উপর থেকে আসে অদ্ভুত সব আওয়াজ। রাতবিরেতে জানালায় টোকা পড়ে। জানালা খুলতেই দেখেন, বীভৎস সব মুখ। ‘ভূতের’ ভয়ে তাঁর ঘুম আসে না।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় বিপুল পরিমাণে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা, পরিষেবা দিতে প্রস্তুত কলকাতা]
যদিও পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দারা এটি ‘ভূতের’ উপদ্রব বলে মানতে নারাজ। প্রৌঢ়াও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এলাকার কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। মহিলার অভিযোগ, এলাকার কয়েকজন যুবক, যারা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাঁর বাড়ির আশপাশে যাতায়াত শুরু করেছে। বেড়ে গিয়েছে তাদের দৌরাত্ম্য। এর মধ্যে এক যুবক তাঁর বাড়ির গাছে উঠে তাঁকে ভয় দেখায়। আবার কয়েকজন যুবক মুখোশ পড়ে রাতদুপুরে ঘুরে বেড়ায় তাঁর বাড়ি চারপাশে। গত দু’মাস ধরে ক্রমাগত তারা ‘ভূতের’ ভয় দেখিয়ে চলেছে, এমনই অভিযোগ প্রৌঢ়ার। ভয়ের চোটে রাতে ভাল করে ঘুম হচ্ছে না তাঁর।
[আরও পড়ুন: ফের শহরে চিকিৎসক নিগ্রহ, বাঘাযতীন হাসপাতালে ডাক্তারের প্যান্ট খোলার চেষ্টা করল যুবক]
এর আগে এই প্রৌঢ়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত একটি পরিবার। তাঁরা অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার পর থেকেই এই সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। তার উপর বাড়ছে মানসিক চাপ। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের মতে, এর পিছনে কোনও প্রোমোটারি চক্র থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। তারা চাইছে, যেভাবেই হোক তিনি বাড়ি থেকে চলে যান। প্রৌঢ়ার অভিযোগ, তাঁকে বাড়ি থেকে উৎখাত করার চেষ্টা চলছে। সেজন্যই দেখানো হচ্ছে ‘ভূতের’ ভয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
The post রাতদুপুরে বীভৎস মুখ নিয়ে হাজির ‘ভূত’! খাস কলকাতায় আতঙ্কে পুলিশের দ্বারস্থ প্রৌঢ়া appeared first on Sangbad Pratidin.