সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা ছিলই। কিন্তু ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের পারদ চড়তেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পুরোদস্তুর লড়াই বাঁধল বলে। ইরানের পাশে রয়েছে হামাস ও হেজবোল্লার মতো জঙ্গি গোষ্ঠী।
প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হানিয়েহ ইরানের (Iran) নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যান। সেই সময়ই তাঁকে খুন করার অভিযোগ ওঠে ইজরায়েলের গুপ্তচর বাহিনী মোসাদের বিরুদ্ধে। মোসাদের দুই এজেন্ট ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের গেস্টহাউসের তিনটি আলাদা ঘরে বোমা রেখে আসেন। এখানেই হানিয়েহ থাকবেন বলে খবর পাওয়ার পরই এই পরিকল্পনা করা হয়। এর পরই ইজরায়েলকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। এদিকে গত অক্টোবর থেকেই হেজবোল্লা ইজরায়েলের (Israel) সীমান্তে গোলাবর্ষণ করেই চলেছে নিয়মিত। তারা জানিয়েছে হামাসের সমর্থনেই তাদের এই হামলা।
[আরও পড়ুন: পোর্শেকাণ্ডের ছায়া এবার উত্তরপ্রদেশে, স্কুটিচালক মহিলাকে শূন্যে উড়িয়ে দিল কিশোরের গাড়ি]
এদিকে বরাবরই রণং দেহি নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দেশে হামলা করলে কড়া মূল্য চোকাতে হবে। এক বিবৃতিতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ''ইজরায়েল যে কোনও পরিস্থিতির জন্য দারুণ ভাবে প্রস্তুত। সে আক্রমণ হোক বা রক্ষণ।'' যদিও এই অবস্থায় ইরানকে আক্রমণ না করার পরামর্শই দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানাচ্ছেন, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকা উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি ওই অঞ্চলে বিশাল সেনা মোতায়েন করছে আমেরিকা! অতিরিক্ত রণতরী ও যুদ্ধবিমানও পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ। ইজরায়েলে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক করেছে ভারতীয় দূতাবাস। এদিকে বেইরুটের মার্কিন দূতাবাস নাগরিকদের উদ্দেশে জানিয়েছে, একাধিক বিমানসংস্থা উড়ান বাতিল করেছে। অধিকাংশ টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় পছন্দ না হলেও যে টিকিট পাবেন তাতেই লেবানন ছাড়ার চেষ্টা করুন। একই ভাবে ব্রিটিশ সরকারও দ্রুত লেবনন ছাড়তে বলেছে নিজের দেশের নাগরিকদের।