সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপের বল গড়াতে এখনও প্রায় ১৯ দিন বাকি। তবে, ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করে ফেলেছে প্রায় সব দেশই। অনুশীলনও চলছে জোরকদমে। সব দলের কোচই এখন মগ্ন মগজাস্ত্র কাজে লাগিয়ে রণকৌশল নির্ধারণ করত। চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে রাশিয়াতেও। মস্কোর রাস্তায় এখন ফুটবল ফুটবল আবহাওয়া। এরই মধ্যে সরকারিভাবে ঢাকে কাঠি পড়ল বিশ্বকাপের। অনলাইনে মুক্তি পেল ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮’র থিম সং ‘লিভ ইট আপ।’ তবে এখনও গানটির ভিডিও আসেনি। গতকাল রাতে অনলাইনে অডিও ফরম্যাটে প্রকাশিত হয়েছে ‘লিভ ইট আপ’।
[মোহনবাগানের ত্রাতা টুটু বোসকে দেবতার আসনে বসালেন অঞ্জন ঘনিষ্ঠরা]
গানটি গেয়েছেন বিশ্বখ্যাত তিন ব়্যাপার উইল স্মিথ, নিকি জ্যাম, এবং এরা ইস্ত্রেফি। গানটির প্রযোজনা করেছেন বিখ্যাত ডিজে এবং গীতিকার ডিপলো। মার্কিন অভিনেতা উইল স্মিথ জানিয়েছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে তাঁরা গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের নাচতে দেখতে চান তারা। বিশ্বকাপের মত ইভেন্টেj থিম সঙে পারফর্ম করতে পারা সম্মানের বলেও জানাচ্ছেন তারা। যে তিনজন গানটি গেয়েছেন তাঁরা সম্পূর্ণ আলাদা ঘরানার গায়ক। তাই এই গানটি বিশ্বভ্রাতৃত্বের প্রমাণ দেয় বলেও দাবি প্রযোজকদের। ফিফার তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ জুলাই বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে গানটি লাইভ পারফর্ম করবেন তিনজনই। হাজির থাকবেন গোটা বিশ্বের সেরা ফুটবল তারকারাও।
[রশিদের স্পিনের ছোবলে কাত নাইটবাহিনী, ফাইনালে হায়দরাবাদ]
যদিও, থিম সং প্রকাশিত হওয়ার পর খুব একটা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না সমর্থকদের মধ্যে। বিশ্বকাপের থিম সং অধিকাংশ ফুটবলপ্রেমীদের পছন্দ হয়নি। কেউ কেউ বলছেন, গানটি নাকি শোনার মতোই না। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথ, পুয়ের্তোরিকোর নিকি জ্যাম এবং আলবেনিয়ার ইরা এশরাফিকে কেন থিম সঙের জন্য বেছে নেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকদের একাংশ। কারণ এই তিন দেশের কোনওটিই এবারের ফিফা বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি। এর আগে ২০১০ সালে সাকিরার ওয়াকা, ওয়াকা গোটা বিশ্বের মন জয় করেছিল। ফুটবলপ্রেমী তো বটেই যাদের ফুটবলে আগ্রহ ছিল না তারাও পছন্দ করেছিলেন গানটিকে। গত বিশ্বকাপে পিটবুলের গাওয়া থিম সং-ও ভালই পছন্দ করেছিলেন ফুটবল সমর্থকরা। কিন্তু ‘লিভ ইট আপ’ মুক্তি পাওয়ার পর সমর্থকদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কিন্তু মোটেই সুখকর নয় প্রযোজকদের জন্য।
The post অনলাইনে মুক্তি পেল বিশ্বকাপের থিম সং, মন ভরল না ফুটবলপ্রেমীদের appeared first on Sangbad Pratidin.