সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ জুন। প্রত্যেক বছর এই দিনটিতে উৎসবের আমেজে ভাসত কেরলের ত্রিচূরের কোট্টেয়ামের একটি খ্রিস্টান পরিবার। সেজে উঠত গোটা বাড়ি। সকাল থেকে ভিড় জমাতো নীল-সাদা জার্সি গায়ের একঝাঁক যুবক। নীল-সাদা রং দিয়ে তৈরি হতো কেক, গোটা বাড়িতে লাগানো হতো আর্জেন্টিনার পতাকা। কেক কাটতেন বছর তিরিশের যুবক ডিনু অ্যালেক্স। এবছর সেই ডিনু অ্যালেক্সের বাড়িই যেন শ্মশানে পরিণত হয়েছে। আনন্দোৎসবের বদলে উঠছে কান্নার রোল। যে প্রতিবছর মেসির জন্মদিন পালন করতেন সাড়ম্বরে, সেই ডিনু অ্যালেক্সেরই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে আজ। আর্জেন্টিনার খারাপ পারফরম্যান্সের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথে বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
[সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে ফের ‘নোংরা কাজ’! নেটদুনিয়ায় ভাইরাল জার্মান কোচের কীর্তি]
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ৩-০ গোলের লজ্জাজনক হারের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ডিনু। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, ৩০ বছর বয়সী ডিনু অন্ধ মেসিভক্ত। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই মেসির হতাশাজনক পারফরম্যান্সে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের আগের দিনই নতুন আর্জেন্টিনার জার্সি কিনেছিলেন অ্যালেক্স। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ৩-০ তে আর্জেন্টিনা হারার পরই ভেঙে পড়েন ডিনু। ভোর ৪টে থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অ্যালেক্সের ঘর থেকে যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে তাতে লেখা ছিল, ‘আমার আর বেঁচে থাকার কোনও কারণই নেই, মেসি আপনি গোটা কেরলকে হতাশ করেছেন।’
[রাশিয়ায় গিয়ে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে চান, জানেন কত খরচ পড়বে?]
স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হলে শুরু হয় সন্ধানকাজ। স্নিপার ডগের সাহায্যে পুলিশ অনুমান করে, স্থানীয় মীনাচল নদীতে ঝাঁপ দিতে পারেন অ্যালেক্স। প্রায় ৩ দিন ধরে সন্ধান চালানো হয় মীনাচল নদীতে। আজ ইল্লিকাল এলাকায় নদীর ধার থেকেই উধাও হয়েছে ডিনুর দেহ। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতেই, শোকে ভেঙে পড়েছেন ডিনুর মা-বাবা। তাঁরা জানিয়েছেন, ফুটবলই ছিল ডিনুর জীবন, মেসিকে পুজো করতেন দেবতার মতো করেই। সেই মেসিরা বিশ্বকাপ জিততে পারবে না ভেবেই আত্মহননের পথে বেছে নিয়েছেন তাদের ছেলে। কাকতালীয়ভাবে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বেঁচে আছে, বেঁচে নেই শুধু ডিনু অ্যালেক্স।
The post মেসির জন্মদিনেই উদ্ধার তাঁর অন্ধভক্তর দেহ, শোকবিহ্বল পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.