সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনার জিপের সামনে এক কাশ্মীরি যুবককে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। ইতিমধ্যে ঘটনাটির তদন্তের আদেশও দিয়েছে সরকার। পুলিশ সূত্রে খবর, বদগাঁও জেলার বিরওয়া থানায় সেনাবাহিনীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[নৌসেরায় ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে তীব্র গুলিবর্ষণ পাক সেনার]
পুলিশ সূত্রে খবর, যে যুবকটিকে সেনাবাহিনীর জিপের সামনে বাঁধা হয়েছিল তাঁর নাম ফারুক আহমেদ দার। তিনি বুদগাঁওয়ের খানসাহিব এলাকার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের ওই যুবক জানিয়েছেন, ভোট দিয়ে ফেরার পথে সেনবাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে মারধর করে ও জিপের সামনে বেঁধে নিয়ে যায়। ওই অবস্থায় তাঁকে গ্রামে-গ্রামে ঘুরিয়ে পাথর নিক্ষেপকারীদের সতর্ক করা হয়। পরে পরিবার ও গ্রামের লোকেদের আবেদনে তাঁকে মুক্তি দেয় সেনা। ওই যুবক জানিয়েছেন তিনি কোনও দিন সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েননি।
[কাশ্মীরি যুবক বাঁধা সেনার গাড়িতে, টুইটারে প্রতিবাদ ওমর আবদুল্লাহর]
শুক্রবার, ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ। সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছিল সেনাবাহিনীর একটি চলন্ত গাড়ির সামনে বাঁধা রয়েছে এক যুবক। আবদুল্লাহর অভিযোগ, পাথর নিক্ষেপকারীদের রুখতে এমন বর্বর পন্থা নিয়েছে সেনা। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবিও করেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, জওয়ান নিগ্রহের ঘটনায় দেশ জুড়ে যে প্রতিবাদ হয়েছে তা কাশ্মীরিদের ক্ষেত্রে কখনওই হয় না। সবার কাশ্মীর চাই, অথচ কাশ্মীরিদের চাই না।
[“আইন করলেও মুসলিমরা শুধু শরিয়তই মানবে”]
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই জওয়ান নিগ্রহের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, কাশ্মীরে উপ-নির্বাচন শেষে ভোট যন্ত্র নিয়ে ফিরছিলেন কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান। তাঁদের আক্রমণ করে একদল কাশ্মীরি যুবক। কিল, চড়, লাথি মারা হয় জওয়ানদের। হাতে অস্ত্র থাকলেও পাল্টা আঘাত করেননি ওই জওয়ানরা। অসীম ধৈর্য্যের সঙ্গে মুখ বুজে গণতন্ত্রের প্রতীক ভোট নিয়ে গন্তব্যের দিকে চলে যান তাঁরা। ওই ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায় দেশ জুড়ে। ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন কেকেআর অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর, প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগ ও অভিনেতা অনুপম খের।
The post জিপে বাঁধা কাশ্মীরি যুবক, সেনার নামে দায়ের এফআইআর appeared first on Sangbad Pratidin.