রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: পুড়ে ছাই হলং বনবাংলো। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ আগুন লাগে। দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু কাঠের এই বাংলোকে রক্ষা করা যায়নি। ১৫ জুন থেকে জঙ্গল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলোটিতে কোনও পর্যটক ছিলেন না। দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনদপ্তর।
এদিন রাত সাড়ে নটা নাগাদ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে থাকা কাঠের এই বাংলোটিতে আগুন ধরে যায়। পর্যটক না থাকলেও কিছু কর্মচারী দেখভালের জন্য বাংলোতেই ছিলেন। তাঁরাই প্রথম আগুনের ফুলকি দেখতে পান। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বাংলোর একটি এসিতেও বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে গোটা বাংলো দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে।
[আরও পড়ুন: যাত্রী মোটে ৬০০! লাভ হচ্ছে না ‘রাতের মেট্রো’য়, বন্ধের মুখে পরিষেবা?]
ঘটনার খবর পেয়ে মাদারিহাট থেকে দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কাঠের এই বাংলোকে রক্ষা করা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলোটি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ড। কীভাবে এই আগুনের ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করছে বনদপ্তর। বন্যপ্রাণ বিভাগের রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বলেন, "আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।"
ডুয়ার্সের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হলং বনবাংলো। তৈরি হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে ৫০ বছরের বেশি পুরনো এই বনবাংলো পর্যটকদের কাছে 'হট কেক'। তারকা থেকে আমজনতা, জঙ্গলে ঘেরা কাঠের এই বাংলোয় রাত কাটাতে মুখিয়ে থাকতেন। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর পছন্দের বাংলো ছিল এটি। এদিনের আগুন পুড়ে খাক হয়ে গেল সেই জনপ্রিয় বাংলোটি।