শুভঙ্কর বসু : “যৌন তৃষ্ণা মেটান ও টাকা কামান!”
শহরের ল্যাম্প পোস্ট বা দেওয়ালে সাঁটানো পলি, ডলি, রিনা কিংবা রিয়া ম্যাসেজ পার্লারের পোস্টারের লাইন নয়! এসকর্ট সার্ভিস বা কলগার্লের দেওয়া বিজ্ঞাপনের লাইন ভাবলেও আপনি ভুল! এ হল সরাসরি জিগোলো বা সোজা কথায় পুরুষ যৌন কর্মী হওয়ার প্রস্তাব! নামী বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির গ্রাহকদের কাছে বিজ্ঞাপন-এসএমএস হিসাবে প্রায়ই আসছে এমন প্রস্তাব৷ বেছে বেছে ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ গ্রাহকদের মোবাইলে ঢুকছে এমন এসএমএস৷ মেসেজে বলা হচ্ছে– “এনজয় করুন৷ কলেজ গার্ল, মডেল, গৃহবধূদের দৈহিক তৃষ্ণা মেটান। রোজ ১১ হাজার টাকা কামান৷” সঙ্গে থাকছে ওয়েবসাইটের ঠিকানা৷ আর এইসবকিছুর আড়ালে পাতা হচ্ছে বিরাট প্রতারণার ফাঁদ।
কীভাবে প্রতারণা? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বছর ২৮-এর এক প্রতারিত জানিয়েছেন, এসএমএসে দেওয়া ওয়েবসাইটের ঠিকানায় ঢুঁ মারলে প্রথমেই ভেসে উঠবে উত্তেজক পোশাকের লাস্যময়ী তরুণীর হাসিমাখা মুখ৷ সেই তরুণীর গা ঘেঁষেই রয়েছে ওয়েবসাইট পরিচিতি৷ সার্চ করতে করতে এক জায়গায় গিয়ে আটকে যাবেন আপনি। যেখানে লেখা রয়েছে, ওয়েবসাইট মারফত জিগোলো হতে গেলে ৯৯৯ টাকার বিনিময়ে নিতে হবে মেম্বারশিপ৷ দেখা করে ক্যাশ দিয়ে মেম্বার হওয়ার সুযোগ নেই৷ টাকা দিতে হবে অনলাইনে।
এরপরই ইন্টারভিউয়ের জন্য আপনার ডাক আসবে। শরীরে যদি অতিরিক্ত মেদ থাকে তাহলে আপনাকে করতে হবে কসরত। কর্তৃপক্ষের দাবি, মেদওয়ালা পুরুষ মেয়েদের মোটেই পছন্দ না। করতে হবে গ্রুমিং ক্লাসও। এরপর কোনও মহিলাকে সন্তুষ্ট করে আপনি সুযোগ পাবেন টাকা কামানোর। কিন্তু একই সঙ্গে আসবে ধাক্কাটাও৷ সব হয়ে যাওয়ার পর প্রাপ্য অর্থ চাইতে গেলে উল্টে আপনার কাছেই অর্থ দাবি করা হবে৷ বলা হবে, গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি৷ ট্যাঁ ফোঁ করলেই ওয়েবসাইটে ছেড়ে দেওয়া হবে৷ এখন আর আপনার কিছুই করার নেই৷ আপনি মনে ভাববেন মানে মানে কেটে পড়াই ভাল৷ এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকেই।
The post জিগোলো হওয়ার হাতছানি! সঙ্গে পাতা প্রতারণার ফাঁদও… appeared first on Sangbad Pratidin.