সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিসাইলের যন্ত্রাংশ বোঝাই জাহাজ আটকের পর এবার মিলল স্যাটেলাইট ফোন। গুজরাটের কান্দলা বন্দরের কাছে ফের এহেন ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে প্রতিরক্ষা মহল।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ ফেব্রুয়ারি কান্দলা বন্দর লাগোয়া একটি দ্বীপে একটি ফোন কুড়িয়ে পান এক মৎস্যজীবী। সাধারণ মোবাইল ফোন ভেবে তিনি স্থানীয় দোকানে সিমকার্ড ভরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দোকানদার তাঁকে জানিয়ে দেন, সেটি সাধারণ কোনও মোবাইল নয়। সঙ্গে সঙ্গেই ওই মৎস্যজীবী ফোনটি নিয়ে পুলিশের কাছে যান। পূর্ব কচ্ছের জেলা পুলিশ সুপার পরীক্ষিতা রাঠোর জানিয়েছেন, ‘কান্দলা বন্দরের ১০ নম্বর জেটি সংলগ্ন দ্বীপে স্যাটেলাইট ফোনটি কুড়িয়ে পান এক মৎস্যজীবী। ফোনটি আমাদের কাছে তিনি জমা দিয়েছেন। ফোনটি এই মুহূর্তে কোনও কাজ করছে না। তবে, আইএমইআই নম্বরের ভিত্তিতে স্যাটেলাইট ফোনটি থেকে কলরেকর্ড উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।’
সদ্য গুজরাট উপকূলে হংকং-এর পতাকা লাগানো একটি বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করা হয়।সেটি পাকিস্তানের করাচির উদ্দেশে যাচ্ছিল। তাতে খাদ্যশস্য, ইলেকট্রনিক সামগ্রী থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ছিল। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী জাহাজটি কান্দালা বন্দরের কাছে আটক করে। গতিবিধি সন্দেহজনক থাকায় এবং জাহাজ কর্মীদের কথায় অসঙ্গতি থাকায় তল্লাশি চালানো হয় জাহাজে। বেশ কিছু রহস্যজনক ও আপত্তিকর সামগ্রী পায় উপকূলরক্ষী বাহিনী। পুলিশ মারফত খবর যায় শুল্ক দপ্তরে।
শুল্ক দপ্তরের উদ্যোগে পরীক্ষা চালান ফরেনসিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা। দেখা যায়, জাহাজে প্রচুর পরিমাণে ব্যালাস্টিক মিসাইল তৈরির সামগ্রী রয়েছে। ওই সামরিক সরঞ্জামগুলি ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুড়তে এবং মিসাইলের ব্যাটারিকে সক্রিয় করতে কাজে লাগে। আন্তর্জাতিক বিধি ও নজরদারি এড়াতেই এভাবেই চিন এই প্রযুক্তি পাচার করছিল পাকিস্তানে। দ্য কুই উন নামে ওই জাহাজের ভিতরে গোপন কুঠুরিতে থাকা যন্ত্রকে অটোক্লেভ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ড্রায়ার বলা হলেও, তা ব্যালাস্টিক মিসাইলে ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরকম কয়েক কুইন্ট্যাল ওজনের বিভিন্ন সরঞ্জাম পাকিস্তানে পাচার করা হচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: এবার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য দশটি উপনগরী, আশ্বাস অমিত শাহর]
The post মিসাইলের যন্ত্রাংশের পর উদ্ধার স্যাটেলাইট ফোন, গুজরাট উপকূলে ঘনীভূত রহস্য appeared first on Sangbad Pratidin.