সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার জেল থেকে মুক্তি পেলেও নারদ মামলায় আপাতত গৃহবন্দি থাকতে হবে চার হেভিওয়েট নেতাকে। বাড়ি থেকে ভারচুয়ালি প্রশাসনিক কাজকর্ম করতে পারবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর এদিন সন্ধেতেই এই মামলার শুনানির জন্য পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন হয়ে গেল। আগামী সোমবার সকাল ১১টায় এই ডিভিশন বেঞ্চেই হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন নারদ কাণ্ডে (Narada Case) ধৃতদের জামিন নিয়ে নতুন করে তৈরি হয় জট। কারণ, জামিন নিয়ে সহমত হননি দুই বিচারপতি। বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় চার নেতা-মন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানান, তিনি এখনই জামিন দেওয়ার পক্ষে নন। সেই কারণে জামিনের মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতোই এদিন সন্ধেয় বৃহত্তর বেঞ্চ তৈরি হয়। মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করল হাই কোর্ট। সেখানেই অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজেশ বিন্দালের পাশাপাশি থাকছেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, হরিশ ট্যান্ডন ও সৌমেন সেন। আগামী সোমবার সকাল ১১টায় হবে পরবর্তী শুনানি।
[আরও পড়ুন: অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে টানাটানি, আসানসোলে হেনস্থার শিকার রেড ভলান্টিয়ার্স!]
প্রসঙ্গত, এদিন শুনানিতে চার নেতা-মন্ত্রীর আইনজীবীর তরফে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, ফিরহাদ হাকিম পুরসভায় যেতে না পারলে করোনার মোকাবিলার বহু কাজ আটকে যাবে। তাই তাঁকে গৃহবন্দি না করে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। পাশাপাশি সম্ভব হলে এদিনই নতুন বেঞ্চ গঠনের আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে শনি-রবিবারই শুনানির জন্য আবেদন করেন। তবে পালটা বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
তারপরই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, গৃহবন্দি থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসনিক কাজ করতে হবে চারজনকে। বাড়িতেই সমস্ত ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে। পাশাপাশি সিবিআইকে তদন্তে সবরকম সাহায্যও করতে হবে তাঁদের। এরপরই এদিন সন্ধেয় বাড়ি ফেরেন ফিরহাদ হাকিম। তবে অন্য তিন নেতা আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালেই রয়েছেন।