নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: নাগাল্যান্ডের (Nagaland) ওটিংয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিরীহ গ্রামবাসীদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছিলেন। এবার এই অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল নাগাল্যান্ডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। সোমবারই নাগাল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন দলের ৫ সাংসদ। টুইটে এই খবর জানিয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার রাতে নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে সন্ত্রাসদমন অভিযান চলাকালীন স্থানীয় জঙ্গি সংঠন এনএসসিএন-এর (খাপলাং) সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিরীহ সাধারণ নাগরিকদের উপর গুলি চলে। গুলিতে ১৩ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন জখম হন। এক নিরাপত্তারক্ষীরও প্রাণ গিয়েছে। এনএসসিএন (ইশাক মুইভা) গোষ্ঠীর সঙ্গে নাগা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এরই মধ্যে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় তা বড়সড় ধাক্কা খেল, তা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: ‘৮ লক্ষ চাকরি কোথায়?’, কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে শিক্ষক-ধরনায় যোগ দিয়ে প্রশ্ন সিধুর]
ঘটনার খবর শুনে রবিবারই দীর্ঘ টুইট করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, ”নাগাল্যান্ড থেকে উদ্বেগজনক খবর। মৃতদের পরিবারকে জানাই সমবেদনা। সেই সঙ্গে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হয় এবং আক্রান্তরা ন্যায়বিচার পান।” শুধু টুইট করেই অবশ্য থেমে থাকেননি তিনি। হতাহতদের পরিবারগুলিকে সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন নাগাল্যান্ডে। এই দলে রয়েছেন সাংসদ (TMC MP) প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, সুস্মিতা দেব, অপরূপা পোদ্দার এবং মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব।
[আরও পড়ুন: ৬ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুন, দেহ মিলল প্রতিবেশীর ট্রাঙ্কে]
এই মুহূর্তে দিল্লিতে চলছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session in Parliament)। সেখানেই আপাতত রয়েছেন সাংসদরা। দিল্লি থেকেই সোমবার সরাসরি নাগাল্যান্ড যাওয়ার কথা তাঁদের। এই মুহূর্তে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষী। এই অবস্থায় তৃণমূল সাংসদরা সেখানে গেলে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে সেসব বিশেষ গুরুত্ব না দিতে ওটিং গ্রামে যেতে চান তৃণমূল সাংসদরা।