সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা দু’দিনের ভারী বৃষ্টি। সেই সঙ্গে দোসর ভূমিধ্বস। যার জেরে রীতিমতো বিপর্যস্ত অসম, মণিপুর, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার জনজীবন। এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৪ জনের এবং মণিপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যার কবলে। অসমের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জনজীবন প্রভাবিত। আগামী দু’দিনের মধ্যে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ার কোনও সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। কারণ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টা একই হারে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে ৩ রাজ্যেই।
[রেলে খাবারের মান কেমন? লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে যাচাইয়ের সুযোগ যাত্রীদের]
অসমে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির কোনও খবর না পাওয়া গেলেও বন্যায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে এই রাজ্যটিই। বিশ্বনাথ, কার্বি অ্যানালগ পূর্ব, কার্বি অ্যানালগ পশ্চিম, গোলাঘাট এবং করিমগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে বিপজ্জনক। ইতিমধ্যে অসমে ১০ হাজার ৭০০টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে যাতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। প্রায় ১ হাজার হেক্টর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা। ত্রাণসমাগ্রী পৌঁছে দিতেও সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
[শিক্ষামন্ত্রীর নাক-কান কেটে নেওয়ার হুমকি দিল কর্নি সেনা, কিন্তু কেন?]
বারাক নদী ও তাঁর উপনদীগুলির জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। মেঘালয় এবং বারাক উপত্যকার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ৪৪ নং জাতীয় সড়কের উপর বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। প্রচুর যানবাহন আটকে রয়েছে মেঘালয়ে। মণিপুরের পরিস্থিতিও বেশ বিপজ্জনক। আকণ্ঠ জলে ডুবে রাজধানী ইম্ফলের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বিপর্যস্ত মণিপুরে। ১৮০ টি ত্রাণশিবিরে প্রায় ৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। জল জমার কারণে ব্যহত যানচলাচল, বিদ্যুৎ পরিষেবা। ত্রিপুরাতেও পরিস্থিতি একই। রাজধানী আগরতলা-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন। এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
The post বন্যার কবলে উত্তর-পূর্বের ৫ রাজ্য, ত্রিপুরা-মণিপুরে মৃত ৬ appeared first on Sangbad Pratidin.