সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনার পাথরবাটি। এমন উপমার কথা মাথায় আসতেই পারে যদি আপনি শোনেন কোনও পানীয় আসলে জিন, কিন্তু তা অ্যালকোহল নয়। মনে হতেই পারে এ নিতান্তই অসম্ভব। কিন্তু ভারতের অ্যালকোহল-পানীয় শিল্পে এখন এটাই ট্রেন্ডিং। নন-অ্যালকোহলিক স্পিরিট। বিশেষত জেন জেড, অর্থাৎ এখনকার তরুণতর প্রজন্ম মজেছে এই ধাঁচের পানীয়তে।
এই পর্যন্ত পড়ে অনেকেরই মনে হতে পারে, এটা আসলে বাজারে ইতিমধ্যেই লভ্য জিঞ্জার অ্যালে, সোডা বা মকটেলের মতোই কোনও পানীয়। যাতে অ্যালকোহলও নেই, স্বাভাবিক ভাবেই নেই অ্যালকোহলের স্বাদ-গন্ধও। কিন্তু তা নয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এক নন-অ্যালকোহলিক ককটেল ব্র্যান্ডের কর্ণধার জানাচ্ছেন, ''জিঞ্জার অ্যালে অথবা সোডার মতো সফট ড্রিঙ্কস নয়। এক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। যেমন পাতন কিংবা উদ্ভিজ্জ গলন প্রক্রিয়া। তার সঙ্গে অ্যালকোহল-পানীয়র মানানসই স্বাদ মিশিয়ে দেওয়া হয়।''
এই ধরনের পানীয় যে একেবারে নতুন তা নয়। নন-অ্যালকোহলিক বিয়ার অনেকদিন ধরেই বাজারে লভ্য। অনেক ভারতীয় সংস্থাও এই বিয়ার প্রস্তুত করে। কিন্তু এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অ্যালকোহলবিহীন জিন, ভডকা, রাম, ককটেল। নির্মাতাদের মধ্যে সোবার, সোবারিটি সিপস, ক্যাটওয়াক বটানিক্সের মতো স্বদেশীয় সংস্থা রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে বাজারে।
অ্যালকোহল না থেকেও তার স্বাদ অবিকল দেওয়ার পাশাপাশি এই পানীয়গুলির আরেকটি বৈশিষ্ট্য ক্যালোরি একেবারেই কম। এবং অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই- যা অ্যালকোহল পান করলে হয়।
জেন জেড তথা এখনকার আধুনিক প্রজন্ম স্বাস্থ্য সচেতন। অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। তাই তাঁরা যে পার্টি করতে এই ধরনের পানীয়তে মজবেন সেটাই স্বাভাবিক। পরিসংখ্যান বলছে, আগের প্রজন্মের চেয়ে হাল আমলের প্রজন্মের অ্যালকোহলে অনাসক্তি অনেক বেশি। তাই তাঁরা এই ধরনের পানীয়তে মজছেন। উৎসবের মরশুমও এর ব্যতিক্রম নয়। হাউস পার্টি হোক কিংবা পিকনিক, এই ধরনের পানীয় সঙ্গে রাখতে চাইছেন নবীনরা। অ্যালকোহলে না মজেও অ্যালকোহলের মৌতাতই তাঁদের দারুণ পছন্দের।