দুলাল দে: সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকদের দাবি ছিল, পরের মরশুমের জন্য চুক্তি বাড়ানো হোক কার্লেস কুয়াদ্রাতের। সমর্থকদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই পরের মরশুমের জন্যও চুক্তি বাড়ানো হয়েছে ইস্টবেঙ্গল কোচের। যার ফল স্বরূপ তিনি আর শুধু এই মরশুম নিয়েই কথা বলছেন না, তাঁর কথায় বারবার উঠে আসছে পরের মরশুমও।
সোমবার ম্যাচ জেতার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সেকথা স্বীকারও করলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তিনি বলেন, “সই হয়ে গিয়েছে। পরের মরশুমেও আমি ইস্টবেঙ্গলের কোচ থাকছি।” রেফারিদের বিরুদ্ধে তোপ দাগার জন্য তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে। সেই চিঠি এসে গিয়েছে ক্লাবের কাছেও। তার উপর পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে তাঁকে পাওয়া যাবে না লাল-হলুদ ডাগ আউটে। ম্যাচের পর রেফারির বিষয়ে নতুন করে বলতে চাননি। জরিমানা প্রসঙ্গে বলেন, “এখনই আর কিছু বলতে চাই না। সাসপেন্ড হয়ে যাব।”
[আরও পড়ুন: দাউদাউ করে জ্বলছে বাইপাস লাগোয়া জুটমিলের গুদাম, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা]
ওড়িশা ম্যাচে ডাগআউটে না থাকতে পারাটা মানতে পারছেন না কুয়াদ্রাত। প্রসঙ্গত, ফুটবলারদের জন্য চারটে হলুদ কার্ড হলেও অফিসিয়ালদের জন্য দুটো হলুদ কার্ড দেখলেই একটি ম্যাচ সাসপেন্ড হতে হয় আইএসএলে (ISL)। সেই হিসাবে কুয়াদ্রাত এদিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন। স্বাভাবিকভাবে পরবর্তী ম্যাচে লোবেরার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেই তিনি।
সুপার কাপে যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল লাল-হলুদের পারফরমেন্স গ্রাফ, সেই তুলনায় আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে এসে ম্রিয়মান দেখাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আর রেফারির বিরুদ্ধে না বলে সরাসরি কারণটা জানান লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। তিনি বলেন, “সুপার কাপে ছয় বিদেশি ছিল, এখানে সেই সুযোগ নেই।” তবে সমালেচনা হলেও তাঁর পছন্দের বিদেশি ভিক্টর ভাসকুয়েজের পারফরমেন্সে খুশি কুয়াদ্রাত। তবে যাঁরা ইস্টবেঙ্গলকে হালকাভাবে নিচ্ছেন তাঁদের কার্যত সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেন, “পরের মরশুমে এএফসি কাপ খেলব। হালকাভাবে নেবেন না।” এদিন প্রথমার্ধে চেন্নাইয়িন তাঁদের তুলনায় ভালো খেলেছে বলেও স্বীকার করেন কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) ।