স্টাফ রিপোর্টার: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত শুনানির আগেই অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের প্রস্তাবিত খসড়ায় বেশ কিছু পয়েন্টে আপত্তি জানিয়ে ফেডারেশনের কার্যকরী সচিব সুনন্দ ধরকে চিঠি দিল ফিফা (FIFA) এবং এএফসি (AFC)। যে চিঠি পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই উল্লসিত রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাছে তিন সদস্যর অ্যাডমিনিস্ট্রেটরররা যে খসড়া জমা দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, ৩৫টি রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি একজন করে প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলারও ফেডারেশন নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। ঠিক এই জায়গাটাতেই আপত্তি জানিয়ে ফিফা বলেছে, তারা ব্যক্তিগত স্তরে ভোট দেওয়া মেনে নেয় না। কোনও ফুটবলারকে ভোট দিতে হলে রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে দিতে হবে।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের খসড়ায় রয়েছে, ১২ জনের কার্যকরী কমিটিতে ৫ জন ফুটবলার থাকবেন। যাঁর মধ্যে তিনজন মহিলা। সভাপতির পদ রাখা হলেও কোনও সহ সভাপতির পদ রাখেননি অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা। ফিফা এবং এএফসি বলছে, সভাপতি কোনও কারণে অসুবিধায় থাকলে, সহ সভাপতির মধ্য থেকেই সভাপতি বেছে নিতে হবে। কমিটিতে পাঁচ জন ফুটবলার থাকতেই পারেন। কিন্তু কার্যকরী কমিটি গঠন হওয়ার পর সেই কমিটি পাঁচ জন ফুটবলারকে কোঅপ্ট করে নেবে।
[আরও পড়ুন: আইসিসির ক্রিকেট কমিটিতে লক্ষ্মণ, ২০২৫ সালের মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে ভারতে]
খসড়ায় বলা আছে, ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিতে নির্বাচিত হওয়ার পর, রাজ্য সংস্থার পদ ছেড়ে দিতে হবে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের এই প্রস্তাবও ফিফা এবং এএফসি যৌথভাবে মানছে না। প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলের ফিফা কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার জন্য ভারতীয় ফুটবলের সভাপতিত্ব ছাড়তে হয়নি।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা নতুন খসড়ায় জানিয়েছেন, আগে যাঁরা সহ সভাপতি ছিলেন, তাঁরাও অফিস পদাধিকারী হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ফিফা এবং এএফসি এই পয়েন্টেও আপত্তি জানিয়ে বলেছে, নতুন নিয়মে আগের কিছু কার্যকর হবে না।
ফেডারেশন নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত শুনানি। তার আগে ফিফা ও এএফসি-র তরফে এরকম আপত্তির চিঠি চলে আসায়, পুরো নজরটাই এখন থাকবে বৃহস্পতিবারের শুনানির দিকে।