সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিস্তর কূটনৈতিক এবং সামরিক আলোচনার পরও লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে যে সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, তা মিটতে চাইছে না। পূর্ব লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে চিন। মুখে সেনা প্রত্যাহারের কথা বললেও বাস্তবে তেমনটা করছে না বেজিং। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ভারত। সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত আগেই চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, আলোচনায় কাজ না হলে সেনা অভিযানের রাস্তা খোলা আছে। এবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও (S Jaishankar) চিনাদের সতর্ক করলেন। কড়া ভাষায় না হলেও, তাঁর এই সতর্কবার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সম্প্রতি এক বইপ্রকাশের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী সাফ বার্তা দিয়েছেন, লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে হওয়া বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মানছে না চিন (China)। এবং যতদিন চিনারা তা না মানবে, ততদিন শান্তি ফেরা সম্ভব না। জয়শংকর বলছিলেন,”সেই ১৯৯৩ থেকে কয়েক বছর বাদে বাদে চিনের সঙ্গে আমাদের নতুন নতুন চুক্তি হয়। তার সারমর্ম হল, পরিস্থিতি যাই হোক সীমান্তে দুই শিবিরই ন্যূনতম সেনা মোতায়েন রাখবে। কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না। চিন সীমান্তে এখনও প্রচুর সেনা। আমরা জানিনা সেটা কেন। আরও একটা শর্ত ছিল, সেটা হল সংঘর্ষে না জড়ানো। আপনি যদি সীমান্তে শান্তি চান, তাহলে আপনাকে এই শর্তগুলো মানতে হবে। মানছি প্রকৃত সীমান্তরেখা নিয়ে আমাদের কিছুটা মতানৈক্য আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কোনও দেশ জোর করে একপাক্ষিকভাবে সীমান্তের পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করবে।”
[আরও পড়ুন: রাহুলের জন্য অপেক্ষা কংগ্রেসকে আরও অপ্রাসঙ্গিক করবে, কটাক্ষ শিব সেনার]
উল্লেখ্য, কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চললেও পূর্ব লাদাখ থেকে এখনও সম্পূর্ণভাবে ফৌজ সরেনি চিন। ওই অঞ্চলে মুখে সেনা প্রত্যাহারের কথা বললেও বাস্তবে তেমনটা করছে না বেজিং। বিশেষ করে গোগরা ও হটস্প্রিং এলাকায় এখনও ভারতীয় জমিতে দখল বজায় রেখেছে লালফৌজ। তাছাড়া, প্যাংগংয়ে লেকের ধারে ফিঙ্গার ৫ থেকে কিছুতেই হটতে চাইছে না চিনা সেনা। চার থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্ট পর্যন্ত ভারতীয় সেনার নো-এন্ট্রি করে রেখেছে পিএলএ। টহলদারি চালাতে পারছে না ভারতীয় সেনা। দেপসাং উপত্যকায় দুই দেশের সৈন্যরা এখনও পর্যন্ত খুব কাছাকাছি রয়েছে।
The post সীমান্তে শান্তি চাইলে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মানতেই হবে, চিনকে কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.