সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাসে (Hathras) দলিত তরুণীর ধর্ষণই হয়নি। চূড়ান্ত ফরেনসিক রিপোর্টেও (Forensic Report) এমনটাই দাবি করা হল। বলা হল, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে ‘পেনিট্রেশন’-এর কোনও চিহ্ন নেই। মেলেনি বীর্যও। উত্তরপ্রদেশে পুলিশের দাবিতেই কার্যত সিলমোহর দিল এই রিপোর্ট। তবে এই রিপোর্ট নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী আগ্রার ফরেনসিক ল্যাবের চূড়ান্ত রিপোর্টে বলা হয়, “নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে পেনিট্রেশনের কোনও চিহ্ন মেলেনি। তবে শারীরিক নিগ্রহের প্রমাণ রয়েছে। ঘাড়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।” ফরেনসিক নমুনায় বীর্যের অস্তিত্ব পাওযা যায়নি বলেও জানানো হয়েছে।তাঁদের তরফে এই রিপোর্ট সাদাবাদ পুলিশ স্টেশনের সার্কেল অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্টই আদালতে পেশ করা হবে। যদিও প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, যৌনাঙ্গে পেনিট্রেশনের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু মাত্র ১০ দিনের মাথায় চূড়ান্ত রিপোর্ট সম্পূর্ণ বদলে গেল! উল্লেখ্য, ময়নাতদন্তে রিপোর্টেও বলা হয়েছিল নির্যাতিতার ভিসেরায় বীর্যের উপস্থিতি ছিল না।
[আরও পড়ুন : উন্নাওয়ের পুনরাবৃত্তি! হাথরাস কাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থনে সভা স্থানীয় বিজেপি নেতার]
প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশের এক বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক প্রশান্ত কুমার দাবি করেছিলেন, দলিত তরুণীর ধর্ষণই হয়নি। জাতপাতের রাজনীতি করার জন্যই কেউ কেউ তথ্যবিকৃতি করছে। ওই তরুণীর ঘাড়ে ও পিঠে আঘাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে। একই দাবি উঠেছিল রবিবারের বিজেপির জমায়েতেও। এই ফরেনসিক রিপোর্ট যেন সেই দাবিতেই সিলমোহর দিল।তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, নির্যাতনের ১১ দিন পর ভিসেরা নমুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ফলে তাতে বীর্যের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসে এক দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর তাঁর ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৫ তারিখ তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়ছিল।
এই ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তাল গোটা দেশ। বিরোধীরা যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে পালটা বিরোধীদের একহাত নিয়েন যোগী। তাঁর দাবি, “বিরোধীরা উন্নয়ন চায় ন। বরং হিংসা ছড়াতেই উৎসুক।”
[আরও পড়ুন : কোথায় নারী নিরাপত্তা? নাবালিকাকে ধর্ষণ করে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হল ভিডিও]