বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি। জ্ঞান রয়েছে তাঁর। কথাও বলতে পারছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
রবিবার সকালের মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, রবিবার রাতে ভালই ঘুমিয়েছেন তিনি। আপাতত কোনওরকম যান্ত্রিক সহায়তা ছাড়া নিজেই অক্সিজেন নিচে পারছেন। তাঁর রক্তে ৯০ শতাংশের মতো অক্সিজেন রয়েছে। রক্তচাপ স্থিতিশীল। হিমোগ্লোবিন, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রাও ঠিকই রয়েছে। জ্ঞানও রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কথাও বলতে পারছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কথোপকথনের মাধ্যমে প্রয়োজনের কথা সকলকে জানাচ্ছেন বুদ্ধবাবু। মূত্রত্যাগজনিত কোনও সমস্যাও নেই। নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড-সহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। রাইলস টিউবের মাধ্যমেই আপাতত খাওয়াদাওয়া করছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় সারাক্ষণই তাঁকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে বলেও জানান চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: ‘তোমার মতো ছেলেদেরই দরকার’, মুখ্যমন্ত্রীর এক ফোনে বিলেতের চাকরি ছাড়লেন চিকিৎসক]
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বুধবার দুপুরে উডল্যান্ডস হাসপাতালে (Woodlands Hospital) ভরতি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগ ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ভরতি করানোর পর অক্সিজেন দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। দলীর নেতাদের পাশাপাশি তাঁকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।
শুক্রবার সকালের মেডিক্যাল বুলেটিনেও তাঁর পরিস্থিতি নিয়ে খুব আশার কথা শোনাতে পারেননি চিকিৎসকরা। তবে বেলা বাড়তেই ধীরে ধীরে উন্নতি হতে থাকায় উডল্যান্ডসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাঁকে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা হতে পারে। বিকেলের দিকে সেই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়। ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গেও কথা বলেন বুদ্ধবাবু। আর শনিবার শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়। রবিবার ফের আরও খানিকটা উন্নতি হল তাঁর। খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।