শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: বিয়ের পর থেকে অশান্তি। স্বামীর ঘর করতে পারেননি তরুণী। বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। আইনত বিবাহবিচ্ছেদ না হওয়া সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তরুণী। খবর পেয়ে শান্ত থাকতে পারেননি প্রথম স্বামী। দলবল সঙ্গে নিয়ে বিয়েবাড়িতে হামলা করেন তিনি। ঘাটালের কিশোরচকের তরুণীর পরে অবশ্য পুলিশি প্রহরায় তরুণীর বিয়ে হয়।
ঘাটালের কিশোরচকের তরুণীর বছর আড়াই আগে বিয়ে হয়। ঘাটালের গড়প্রতাপের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দলুইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামী মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত তাঁকে। বহুবার মিটমাটের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। অবশেষে বাপের বাড়িতেই ফিরে যান তরুণী। আলাদা থাকতে শুরু করেন দুজনে। যদিও আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি তাদের। সম্প্রতি তরুণীর বিয়ে স্থির হয়।
[আরও পড়ুন: কাপড়ে বাঁধা হাত-পা-মুখ! ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর পুকুরে মিলল শিশুর দেহ]
ঘাটালের বনহরিসিংপুর গ্রামের বাসিন্দা সুরজিৎ মাইতির সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। শনিবার রাতে বসে বিয়ের আসর। সন্ধ্যায় ততক্ষণে তরুণীর সাজগোজ হয়ে গিয়েছে। আমন্ত্রিতরাও আসতে শুরু করেছেন। শুধু নতুন বর এবং বরযাত্রী এসে পৌঁছননি। আচমকাই তরুণীর আগের স্বামীর নেতৃত্বে জনা পনেরো-কুড়িজন বিয়েবাড়িতে আসেন। কনেপক্ষের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়। তরুণীকে নিজের বাড়িতে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিশ্বজিৎ। খবর পেয়ে ওসি শঙ্খদীপ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশি প্রহরায় অবশেষে তরুণীর বিয়ে হয়। তবে প্রথম স্বামীর সঙ্গে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ না হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে দ্বিতীয়বার কারও সঙ্গে ঘর বাঁধলেন তরুণী, তা নিয়ে উঠছে জোর প্রশ্ন।
দেখুন ভিডিও: