সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, কলকাতা হাই কোর্ট এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আগে শুনানিতে তাঁর কোনও বক্তব্যই শুনতে চায়নি। অথচ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে অযথা দুর্নীতি কাণ্ডকে যুক্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করছিলেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তার পর থেকেই তাঁর পদত্যাগের দাবি ওঠে। চাপের মুখে পড়ে এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’কাঁধে নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগও করেন সন্দীপ। বর্তমানে সিবিআই ও ইডি স্ক্যানারে প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশিও চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার হন সন্দীপ। বর্তমানে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তারই মাঝে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
[আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারের কুকীর্তি! এবার নেতার স্ত্রী ও মেয়ের ‘শ্লীলতাহানি’]
এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের শুনানিতে সন্দীপ ঘোষের কোনও বক্তব্য শোনা হয়নি বলেই অভিযোগ। অযথা তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ড নিয়ে শোরগোলের মাঝে দুর্নীতিকে যোগ করা হয়েছে বলেই দাবি মামলাকারী সন্দীপের। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে সন্দীপের দায়ের করা মামলার শুনানির সম্ভাবনা।