টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এবার সিআইডির জালে এসএসসির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিন (Sheikh Sirajuddin)। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। ৫ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের ভুয়ো নিয়োগের তদন্তে নেমে সম্প্রতি আরও দুই জেলায় ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের হদিশ পায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। রিপোর্টে সিআইডির দাবি ছিল, বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি স্কুলে একটি করে বেআইনি নিয়োগের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দু’জনেই বর্তমানে কর্মরত। এঁদের মধ্যে বাঁকুড়ার অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম জেসমিন খাতুন। ২০১১ সালের স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার প্যানেলের নিরিখে ২০১৯ সালে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অথচ তত দিনে ওই প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। নিয়োগের সময় জেসমিনের স্বামী শেখ সিরাজউদ্দিন বাঁকুড়ার শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ এবং এসএসসি-র পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর দিকে ছিল অভিযোগের তির।
[আরও পড়ুন : শুভেন্দুর ‘আপত্তি’তে মেদিনীপুরে অনিশ্চিত দিলীপ! রাজমাতাকে নিয়ে চরমে অন্তর্কলহ]
পরবর্তীতে শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে এসএসসি। অভিযোগ উঠতেই শেখ সিরাজউদ্দিনকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পর গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার জেসমিন খাতুন গ্রেপ্তার হন। এবার সিআই়ডির জালে শেখ সিরাজউদ্দিন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের এসএসসির বাতিল করা প্যানেলের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে কাজে যোগ দেন জেসমিন। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ভতড়া শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তন হাইস্কুলে সংস্কৃতের শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।