সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে ভরাডুবির পর ত্রিপুরাতেও (Tripura) সংকটে বিজেপি! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব রীতিমতো বেসুরো। কিছুদিন আগে দলে বহিরাগত হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে দক্ষযজ্ঞ বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার আবার রাজ্য সরকারের দেওয়া সরকারি বাংলোও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে ত্রিপুরার রাজনীতিতে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিবকেও। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার পাশেই সরকারি বাংলোতে থাকতেন বিপ্লব দেব । প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্য সরকার এই বাড়িটি তাঁর জন্য বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু তিনি এই বাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: এই নিয়ে পাঁচবার, ফের একমাসের জন্য প্যারোলে মুক্ত ধর্ষক রাম রহিম]
তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, রাজধানী আগরতলায় বিপ্লব দেবের কোনও বাড়ি নেই। তিনি আগরতলায় এলে সরকারি অতিথিশালায় ওঠেন। বর্তমানে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলের হাইকমান্ডকেও জানিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে । বিপ্লবের এই পদক্ষেপে ত্রিপুরার রাজনীতিতে বড়সড় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই মানিক সাহার নেতৃত্ব নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন তুলে আসছেন তিনি। এর আগে বহিরাগত ইস্যুতে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে শান্ত করে। কিছুদিন চুপ থাকার পর ফের বিদ্রোহ শুরু বিপ্লবের।
[আরও পড়ুন: ‘১৮০০ ঘণ্টার নীরবতার পর ৩০ সেকেন্ডের জন্য মুখ খুলেছেন’, মোদিকে খোঁচা কংগ্রেসের]
সূত্রের খবর, বিপ্লবের অনুগামী অন্তত ৬-৭ জন বিধায়ক মানিক সাহার নেতৃত্ব মানতে নারাজ। তাঁরা ফের বিপ্লবকেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দেখতে চান। সেই লক্ষ্যে ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতিও চলছে। বিপ্লবের বাড়ি ছাড়া সেটারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা মাত্র দুই আসনের। সেক্ষেত্রে বিপ্লবের অনুগামীরা বিদ্রোহ করলে গেরুয়া শিবিরের বিপদ বাড়তে পারে।