সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম নেতা কল্যাণ সিং (Kalyan Singh) প্রয়াত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। শনিবার রাতে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বর্ষীয়ান এই বিজেপি (BJP) নেতা।
গত ৪ জুলাই থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভরতি ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) পর্যন্ত অনেক শীর্ষ বিজেপি নেতাই তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান। শুক্রবার থেকে হঠাত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শুক্রবারই ওই হাসপাতালের আইসিইউতে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে আসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। চিকিৎসকদের তাঁর চিকিৎসায় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
[আরও পড়ুন: Tripura: সমস্ত জল্পনার অবসান, AICC’র অনুরোধ মেনে ইস্তফা প্রত্যাহার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির]
স্কুলজীবন থেকেই আরএসএস (RSS) সদস্য ছিলেন কল্যাণ। প্রথম ১৯৬৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক হন। জনসংঘ এবং বিজেপির টিকিটে উত্তরপ্রদেশের আতরাউলি থেকে মোট ১০ বার বিধায়ক হয়েছেন তিনি। ১৯৯১ সালে প্রথম তাঁর নেতৃত্বেই উত্তরপ্রদেশের সরকার গড়ে বিজেপি। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় তিনিই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেসময় তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে না পারার অভিযোগ উঠেছিল। এই কাণ্ডের পরই পদত্যাগ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর মৃত্যুমামলা থেকে অব্যাহতির পর খোশমেজাজে শশী থারুর, Onam-এর দিন দুললেন দোলনায়]
১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন কল্যাণ। দু’বছর বাদে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিমানে বিজেপি ছেড়ে নিজের নতুন দলও গড়েন তিনি। কিন্তু সে প্রয়াস সফল হয়নি। ২০০৪ সালে ফের বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ২০০৯ সালে ইটা থেকে লোকসভার (Lok Sabha) সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তাঁকে রাজস্থানের রাজ্যপাল নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন কল্যাণ সিং। তবে, ভারতে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির অন্যতম পুরোধা ধরা হয় তাঁকে। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।