সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে দুর্গাপুজো হবে তো? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গতকালই বলে দিয়েছেন, পুজো তো ভাল করতে হবে! তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কি দুর্গাপুজো (Durga Pujo) হবে এবার? সেই সমস্যা নিরসনে উপায় বের করেছে কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব (Forum For Durgotsav)। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, জাঁকজমক না করেও সুষ্ঠুভাবে যাতে দুর্গাপুজো করা যায় তার জন্য একটি গাইডলাইন বানিয়েছে ফোরাম। আর সেই ১৭ দফার গাইডলাইন কলকাতার সব পুজো কমিটিগুলিকেও বলা হয়েছে। তবে এই গাইডলাইন প্রস্তাবনার আকারে প্রশাসনকেও দেবে ফোরাম। আদৌ এই প্রস্তাবগুলো মেনে পুজো করা সম্ভব কি না তা পরের বিষয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে পুজো করার এই পথই দেখতে পাচ্ছে তারা।
কী বলা হয়েছে এই গাইডলাইনে?
- মণ্ডপ ও প্রতিমার উচ্চতা খুব বেশি না করা।
- মণ্ডপের বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শনের সুযোগ থাকলে ভাল।
- মণ্ডপের ভিতরে চাকচিক্য কমানোর প্রস্তাব।
- সমস্ত দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা আবশ্যক।
- মণ্ডপের মূল প্রবেশপথে থার্মাল গান রাখা বাধ্যতামূলক, গায়ে জ্বর নিয়ে মণ্ডপে ঢোকা যাবে না।
- একবারে ২৫ জনের বেশি দর্শনার্থীকে মণ্ডপের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ার প্রস্তাব।
- শুধু রাতেই নয়, সারাদিন ধরে দর্শনার্থীদের ঠাকুর দেখার প্রস্তাব।
- রাতে ঠাকুর দেখার ভিড় কমাতে আলোর চাকচিক্য কমানোর প্রস্তাব।
- পুজোর সময় প্রত্যেকদিন মণ্ডপ ও প্রতিমা স্যানিটাইজ করা হোক।
- মণ্ডপের বাইরে পুজোর স্টলগুলির মধ্যে ৩ থেকে ৪ ফুট ব্যবধান রাখতে হবে।
- খাবারের স্টলগুলিতে আগে থেকে তৈরি করা বা রেডিমেড খাবারের উপর জোর দিতে হবে। বসে খাওয়া চলবে না।
- ঠাকুরের প্রসাদে কাটা ফল নয়, গোটা ফল রাখতে হবে।
- পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধিপুজো, আরতির সময় শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে হবে।
- মণ্ডপশিল্পী ও কর্মীদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে কমিটিকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
- এলাকা স্যানিটাইজ করার ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুলোকও দায়িত্ব নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: করোনাতঙ্ক কাটিয়ে উৎসবের মেজাজেই হবে দুর্গাপুজো? বড়সড় আপডেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
এরমক প্রস্তাবই গাইডলাইনে রেখেছে ফোরামে। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কলকাতার পুজোয় যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরোন, তাঁদের ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে সন্দিহান পুজো উদ্যোক্তারাও। আর কলকাতার বহু হেভিওয়েট পুজো রয়েছে, যেখানে এখন মহালয়ার পরদিনই উদ্বোধন হয়ে যায় আর দর্শনার্থীরা ভিড় বাড়াতে থাকেন। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা মুখের কথা নয়। তাই এই প্রস্তাবগুলির বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেছেন, ‘পুরোটাই প্রস্তাবনার আকারে মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রশাসনকে দেওয়া হবে। আর পুজো কমিটিগুলিকেও এই গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।’
[আরও পড়ুন: আগামী দু’মাসে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা শিখরে পৌঁছবে, আতঙ্কিত হবেন না: মমতা]
The post করোনা আবহে কীভাবে সম্ভব প্রতিমা দর্শন? এই প্রস্তাবগুলিই দিলেন কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা appeared first on Sangbad Pratidin.