বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ক্ষোভ প্রশমিত করতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান নিজে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট করা যায়নি শরিকদের। যে উত্তর তাঁরা আশা করেছিলেন, তা পাওয়া যায়নি। তাই বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষেই অনড় শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক (Forward bloc)। এর মধ্যেই শরিকদের মান ভাঙতে শুক্রবার ফের বৈঠক ডেকেছেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)। তবে তাতে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছেই।
একুশের নির্বচনের ভরাডুবির পর গত চলতি মাসের প্রথমে বামফ্রন্টের (Left front) বৈঠক বসে। বৈঠকে ভোটের পর্যালোচনা তো দূরঅস্ত, কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতেই ব্যস্ত ছিল শরিক নেতৃত্ব। ব্যর্থতার দায় বড় শরিক সিপিএমের উপর চাপিয়ে একের পর এক তোপ দাগে শরিকরা। কেন শরিকদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কংগ্রেস (Congress) ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF) সঙ্গে আসনরফা করা হলে, তা নিয়ে সিপিএম নেতৃত্বের কাছে জবাবদিহি চায় ফরওয়ার্ড ব্লক। এভাবে সিপিএম একতরফা সিদ্ধান্ত নিলে বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ারও দাবি ওঠে। বৈঠকে কমরেডকুলের শিরোমনিরা বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা করা যাবে বলে সেদিনকার মতো সামাল দেন বিমান বসু। কিন্তু নাছোড়বান্দা ফরওয়ার্ড নেতৃত্ব। চেয়ারম্যান লিখিত জবাব না দিলে ফ্রন্টের বৈঠক বয়কট করবেন বলে জানিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: নাম ভাঁড়িয়ে নিউটাউনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় সুমিত কুমার, গ্রেপ্তারির পর মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
বুধবার রাতে আলিমুদ্দিনের তরফে দেওয়া চিঠি ফরওয়ার্ড ব্লক দপ্তরে পৌঁছলেও চিঠির বয়ানে সন্তুষ্ট নয় বামফ্রন্টের এই শরিক। সেখানে ভবিষ্যতে বামফ্রন্ট শরিকরা একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলবে বা সংগঠিত আন্দোলন সংগ্রামের কথা লেখা থাকলেও সুকৌশলে আসল জবাব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই মনে করছে শরিক নেতৃত্ব। তাই আজকের বৈঠকে দলের প্রতিনিধিত্ব হাজির থাকবে কিনা তা সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্তের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফরওয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজ আলম সাইরানি। তবে হাফিজের বক্তব্যে বড় শরিকের প্রতি অসন্তোষ স্পষ্ট। তিনি জানান, যে জবাব আশা করা হয়েছিল আলিমুদ্দিন তার ধারপাশ দিয়েও যায়নি। তবে বৈঠকে হাজির থাকলেও তাঁরা যে চুপ করে থাকবেন না সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন হাফিজ।