সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: রাস্তায় চলন্ত অটো থামিয়ে সেই অটোর টুল বক্স খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে উঠল ডিআরআই-র গোয়েন্দাদের। কারণ, সেই টুল বক্স থেকে বের হল প্রায় আড়াই কোটি টাকার বিদেশি সোনার বার। শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সল্টলেক চত্বরে। উদ্ধার হওয়া ওই চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে গোয়েন্দারা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অটোর চালক-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন মহিলাও। রবিবার তাদের আদালতে পেশ করা হবে।
[আরও পড়ুন:বাংলা-সহ গোটা দেশেই NRC, কৈলাসের মন্তব্যের পালটা ফিরহাদের]
জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁয়। গোয়েন্দাদের ধারণা, ওই সমস্ত চোরাই সোনার বার এদেশে ঢুকেছিল বাংলাদেশ থেকেই।শনিবার সকালে বনগাঁ থেকে ট্রেনে চেপে উল্টোডাঙা স্টেশনে নামে ওই তিন মহিলা। তাদের পরনে ছিল শাড়ি। উল্টোডাঙা স্টেশনে নেমে তারা অটোয় চেপে সল্টলেকের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় সঙ্গে থাকা সোনার বারগুলি রেখে দিয়েছিল অটোর টুলবক্সে। কিন্তু তারা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি যে তাদের উপর কড়া নজর রেখে চলেছেন ডিআরআই-র সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা। সল্টলেকে পৌঁছে অটো থেকে নামতেই তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করে ফেলেন তদন্তকারীরা। টুলবক্স খুলতেই মেলে ওই সমস্ত চোরাই বিদেশি সোনা।
সূত্রের খবর, এ এক নতুন অপরাধের কায়দা শুরু হয়েছে শহরে। ধৃতদের জেরা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বিএসএফের নজর এড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে চোরাই সোনা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে এ রাজ্যে। এরপর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার মহিলাদের মোটা টাকা কমিশনের ভিত্তিতে পাচারকারী হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে। মহিলাদের এই কাজে লাগানো হচ্ছে শুধুমাত্র গোয়েন্দা পুলিশের নজর এড়ানোর জন্য। সেই সমস্ত মহিলা ট্রেনে বা বাসে চেপে চলে আসছে শহরে। অটোয় চেপে চলে যাচ্ছে বড়বাজার বা সোনাপট্টিতে। শহরের কিছু অটোচালকও জড়িত এই চক্রের সঙ্গে। তারা মোটা টাকা ভাড়ার বিনিময়ে সেই সমস্ত সোনা-সহ মহিলাদের পৌঁছে দিচ্ছে বড়বাজার বা সোনাপট্টিতে। সল্টলেক থেকে এদিন বাজেয়াপ্ত হওয়া সমস্ত সোনাই বড়বাজার বা সোনাপট্টিতে যেত বলেই জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন:একই দিনে জোড়া বিভ্রাট, নেতাজি ভবন ও যতীন দাস স্টেশনে মেট্রোর দরজায় গন্ডগোল]
The post অটোর টুলবক্সে করে পাচার আড়াই কোটির সোনা, ধৃত ৩ মহিলা-সহ চালক appeared first on Sangbad Pratidin.