সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মেনে গোটা দেশেই পথ দুর্ঘটনায় আহতদের ক্যাশলেস বা নগদহীন চিকিৎসা পরিষেবা দিতে উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক।
প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যু হয় পথ দুর্ঘটনায়। বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটে চিকিৎসায় দেরি হওয়ার কারণে। ভারতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ পথ দুর্ঘটনায় (Accident) প্রাণ হারান। ২০১৯ সালে শীর্ষ আদালত একটি মামলায় বলেছিল, পথ দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য সরকারকে কিছু একটা উপায় বের করতে হবে। কারণ, হাসপাতালের তরফে টাকা চাওয়া, পথচলতি মানুষের অনীহা ইত্যাদি কারণ থাকে। দুর্ঘটনার পরের প্রথম এক ঘণ্টাকে ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলা হয়। এই সময় চিকিৎসা পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি আহতের ক্ষেত্রে। তা হলে অনেকাংশে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব। তাই নতুন ভাবনা কেন্দ্রের।
[আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রভাবশালী মহিলাদের তালিকায় ৪ ভারতীয়, নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে আর কারা?]
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ সচিব অনুরাগ জৈন বলেছেন, “দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে এবং নগদহীন চিকিৎসা সংশোধিত মোটর যান আইন ২০১৯-এর অংশ। কিছু রাজ্য এটি বাস্তবায়ন করেছে। তবে এখন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সাথে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক গোটা দেশে এটি পুরোপুরি প্রয়োগ করবে।”
এর রূপরেখাও জানিয়েছেন সচিব। পথদুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার শুরুতে কোনও সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল টাকা দাবি করতে পারবে না। বিলম্ব না করেই তাঁর চিকিৎসা শুরু করতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। চিকিৎসা শুরুর পর আহতের বিমার কোনও সুবিধা রয়েছে কি না, তা দেখা হবে। এই প্রকল্পে দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কোনও উন্নত হাসপাতালে আহতের নগদহীন ট্রমা কেয়ার দেওয়ার রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেই খবর স্বাস্থ্য দপ্তরকে পৌঁছে দেবে পুলিশ। এরপর স্বাস্থ্য দপ্তর আহতের চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নজর রাখবে। ট্রাফিক নিয়মকানুন স্কুল-কলেজের পাঠ্য করা হবে, এমনও ঠিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনুরাগ জৈন। এই ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতে দিল্লিতে সোমবার চালু হয়েছে ইন্ডিয়ান রোড ট্রাফিক ইনস্টিটিউশন।