সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের কথা ভাবেননি৷ দেশই ছিল তাঁর কাছে আগে৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কেটে গিয়েছে বহু বছর৷ তা সত্ত্বেও বেঁচে থাকাকালীন সম্মান পাননি৷ মৃত্যুর পরেও সম্মান জোটেনি৷ তাঁর পরিজনরাও পাননি ভাতা৷ সাধারণতন্ত্র দিবসে ভেজা চোখে দুরাবস্থার কথা জানালেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর মেয়ে৷
[‘লড়াই করতে শিখিয়েছিলেন নাজির’, স্বামীর সম্মানে গর্বিত শহিদপত্নী]
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা মহেশনাথ মিশ্র৷ আজীবন ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি৷ দেশের জন্য কাজ করে গিয়েছেন৷ জীবনে কোনও সম্মান পাননি৷ শনিবার এলাকায় সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মেয়ে রাজেশ্বরী মিশ্র৷ স্মারক দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে৷ এদিনের অনুষ্ঠানে এসে কেঁদে ফেলেন ওই মহিলা৷ তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রামে বাবা মারা গিয়েছেন৷ তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় চল্লিশ বছর৷ আক্ষেপ, স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে আর্থিক সাহায্য পাইনি আজও৷ রোজই সরকারি দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে বেড়াই৷ তবু আজ পর্যন্ত কোনও সহায়তা মেলেনি৷’’ চোখের জল বাঁধ মানেনি তাঁর৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীর মেয়ে হয়েও রাস্তায় পড়ে থাকা খাবার খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওই মহিলার৷ দুঃসহ জীবন যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি৷
[১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় হিমাঙ্কের নিচে ভারতীয় জওয়ানদের এই কীর্তি আপনাকে গর্বিত করবে]
প্রায় চল্লিশ বছর কেটে গেলেও এখনও কোনও আর্থিক সাহায্য পাননি বলে মেনে নেন জেলাশাসক অমৃত ত্রিপাঠী৷ টাকা না পাওয়ার কারণ বুঝতে পারছেন না বলেও জানান তিনি৷
The post ভাতা না পেয়ে সঙ্গী অনটন, ভেজা চোখে আক্ষেপ স্বাধীনতা সংগ্রামীর মেয়ের appeared first on Sangbad Pratidin.