রাহুল রায়: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের অঙ্কিতা অধিকারী বনাম ববিতা সরকারের মামলার ছায়া। মেধাতালিকায় (Merit List) নাম না থাকা সত্ত্বেও ওয়েটিং লিস্টে ২ নম্বরে থেকে চাকরিতে নিয়োগ। কীভাবে হল এমনটা? স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে এ বিষয়ে হলফনামা তলব করলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী লিপিকা মণ্ডলের মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে হলফনামা।
স্কুল সার্ভিস কমিশনে যোগ্য নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকার চাকরি পাননি কোচবিহারের (Cooch Behar) ববিতা সরকার। তাঁর বদলে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে এই সংক্রান্ত মামলায় হাই কোর্টে বিচারপতির নির্দেশে অঙ্কিতা চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। তাঁর চাকরিটি পান ববিতা সরকার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের (Political Science) পর এবার একই মামলা ইতিহাস (History)। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির চাকরির নিয়োগে ফের দুর্নীতির অভিযোগ। মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও মালদহের রতুয়ার একটি স্কুলে চাকরি পেয়েছেন প্রবীণ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। ওয়েটিং লিস্টে তাঁর নাম ছিল দুইয়ে।
[আরও পড়ুন: ববিতা সরকারের পর প্রিয়াঙ্কা সাউ, SSC মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি পেলেন যোগ্য প্রার্থী]
লিপিকা মণ্ডল নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা মামলা দায়ের করেছিলেন হাই কোর্টে (Calcutta HC)। ২০১৬ সালের SLST-তে বসেন তিনি। Rank কার্ড অনুযায়ী ওয়েটিং লিস্টের ৩০ নম্বর প্রার্থী ছিলেন লিপিকা। অথচ মেধাতালিকায় ওয়েটিং লিস্টে ৩১ নম্বরে নাম ছিল তাঁর। এদিকে, মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও ওয়েটিং লিস্টের ২ নম্বরে নাম ছিল প্রবীণ মণ্ডলের। কিন্তু সম্প্রতি একাদশ-দ্বাদশের নম্বর বিভাজন সমেত পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে দেখা যায়, লিপিকার নাম মেধাতালিকার ওয়েটিং লিস্টে ৩০ নম্বরে দেখা যায়। সদ্য প্রকাশিত মেধাতালিকা থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে প্রবীণ মণ্ডলের নাম। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওয়েটিং লিস্টে (Waiting List)থাকা ৩০ জন প্রার্থীর চাকরি হয়েছিল বলে দাবি লিপিকা মণ্ডলের। মেধাতালিকায় না থেকেও কীভাবে চাকরি পেলেন প্রবীণ মণ্ডল? স্কুল সার্ভিস কমিশনের হলফনামা তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।