সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ছ’মাস ধরে চলা মহাযজ্ঞ শেষ হল শনিবার। ফাইনালে এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan) হারিয়ে প্রথমবার ISL চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই সিটি এফসি (Mumbai City FC)। কিন্তু এই আইএসএল আয়োজন করতেই এফএসডিএল বা ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেড শুধু খেলা করতে গিয়ে আনুষাঙ্গিক খরচ করেছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা। যা শুনলে সত্যি অবাক হতে হয়।
আসলে করোনা মানুষকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে ছিল সেখানে কেউ আতঙ্কের বাইরে থাকতে পারেনি। প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত ভয়ের মধ্যে দিন কাটিয়েছে। তাই সপ্তম আইএসএল করার আগে এফএসডিএল ঠিক করে এমন কোনও কাজ করা যাবে না যেখানে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ হয়। তাই নিয়মিত কোভিড টেস্ট, মাস্ক, হোটেল বা মাঠ এমন কী প্র্যাকটিস মাঠকে নিয়মিত স্যানিটাইজ করা। এইসব করতে গিয়ে বিপুল অর্থ ক্ষতি মেনে নিয়েছে এফএসডিএল। তাই মুম্বই সিটি প্রথমবার আইএসএল জেতার পাশাপাশি এসব তথ্য সাধারণ মানুষকে চমকে দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ইশান-বিরাটের দুরন্ত ব্যাটিং, মোতেরায় দ্বিতীয় T20-তে দুরন্ত জয় ভারতের]
করোনা আবহে IPL দুবাইয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা BCCI। কিন্তু ভারতের বুকে এই প্রথম কোভিড চলাকালীন আইএসএল হল। তাও আবার কিনা গত ছ’মাস ধরে। এভাবে টানা ও প্রায় ১৬০০ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মত কোনও টুর্নামেন্ট কোভিডের সময় হয়নি। প্রথমে কলকাতায় আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন হয়। সেখানে ছিল অনেক ছোট আকারের। যা আইএসএল-র কাছে নেহাত শিশু। ছ’মাস ধরে ফুটবলারদের বায়োবাবলের মধ্যে রেখে এগোন সহজ কথা নয়। এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি ফুটবলার, কোচ বা কোচিং স্টাফকে তিন দিন অন্তর কোভিড টেস্ট করানো হত। প্রতিটি টেস্টের পিছনে খরচ ছিল প্রায় ৫০ টাকা। সেইসঙ্গে ২৬ হাজার এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া টুর্নামেন্টের জন্য গোয়ার তিনটে স্টেডিয়াম ফাতোরদা, বাম্বোলিমের জিএমসি স্টেডিয়াম ও ভাস্কোর তিলক ময়দান ভাড়া করতে হয়েছিল। সেইসঙ্গে আটটা মাঠ নিতে হয়েছিল অনুশীলনের জন্য। তাও আবার টুর্নামেন্ট শুরুর মাস দু’য়েক আগে থেকে। এছাড়া ছিল নিরাপত্তা অফিসার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, ফ্লাডলাইট, জেনারেটরের পিছনে খরচ।