সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজু পাল হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ২০১৬ সালে। সেই ঘটনার সাক্ষী উমেশ পাল খুনের পরেই নতুন করে জলঘোলা। যার জেরে আতিক-আশরফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। যদিও গত শনিবার পুলিশের সামনেই ১২টি বুলেটে আতিক আহমেদ (Atiq Ahmad) ও তাঁর ভাই আশরফকে ঝাঁঝরা করে দেয় ৩ আততায়ী। উল্লেখ্য, উমেশ হত্যার পর তাঁর স্ত্রী আতিক-আশরফের পাশাপাশি আতিক আহমেদের স্ত্রী শায়িস্তা পারভিনের বিরুদ্ধেও খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন। বর্তমানে যোগীর পুলিশ শায়েস্তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। যদিও একটি সূত্রের দাবি, খুব শিঘ্রই আত্মসমর্পণ করতে পারেন গ্যাংস্টারের ঘরনি। এদিক প্রকাশ্যে আতিক খুনের দায়ে, গাফিলতির অভিযোগে পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। ‘সিটে’র রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই সাসপেন্ড করা হল পুলিশকর্মীদের।
উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন শায়েস্তা। তাঁর মাথার দাম ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মাঝে আদালতে আগাম জামিনের আবেদনও করেন শায়েস্তা। যদিও এলাহাবাদ এমপি, এমএলএ কোর্ট অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এদিকে প্রয়াগরাজে শায়িস্তার বাপের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। যদিও সেখান থেকে সব আত্মীয়স্বজন পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেশে একদিনে করোনার বলি ৩৮, অ্যাকটিভ কেস ৬৩ হাজার! মাস্ক পরার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের]
মোস্টে ওয়ান্টেড অপরাধীর সন্ধানে অন্য রাজ্যেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গ্রেটার নয়ডা, মীরাট, দিল্লি, ওখলা এমনকী বাংলাতেও নাকি তল্লাশি চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর সন্ধান না পেলেও শায়েস্তার ঘনিষ্ঠ ২০ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা চিকিৎসক। শায়েস্তার বহু আত্মীয়ও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে কোনও ভাবে তাঁদের সূত্রে শায়েস্তা পর্যন্ত পৌঁছতে মরিয়া উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে কোনওদিন ছিলাম না, বিজেপির হয়েই কাজ করতে চাই’, দাবি মুকুল রায়ের]
এদিকে পুলিশি ঘেরাটোপে জেলা হাসপাতাল চত্বরের আতিক-আশরফের খুনের ঘটনায় এবার সক্রিয় হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বিষয়টি নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের পুলিশের কাছে নোটিস পাঠিয়ে রিপোর্ট তলব করা হল। এই অবস্থায় আতিক খুনের দায়ে, গাফিলতির অভিযোগে পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। প্রকাশ্যে আতিক-আশরফ হত্যাকাণ্ডের পরেই বিশেষ তদন্তকারী দল ‘সিট’ গঠন করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গতকাল অভিযুক্তদের জেরার পরে রিপোর্ট জমা পরে। তার ভিত্তিতেই পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন শাহগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক অশ্বিনীকুমার সিং, দু’জন ইন্সপেক্টর এবং দু’জন কনস্টেবল। অন্যদিকে আদালতের নির্দেশে আতিক-আশরফকে শুট আউটে অভিযুক্ত তিন দুষ্কৃতীর পুলিশি হেফাজত হল।