স্টাফ রিপোর্টার: জরুরি পরিস্থিতিতে বিদেশে যাত্রার জন্য আর বেশি সময় লাগবে না পাসপোর্টের জন্য। আবেদনের তিন দিনের মধ্যেই মিলতে পারে পাসপোর্ট। এখন যা পেতে দিন ছয় থেকে সাত দিন লাগে। এর ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট (Passport) পেতে যাত্রীদের আরও সুবিধা হবে। তবে সাধারণ পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রেও সময় আরও কম লাগছে বলেই জানাচ্ছেন কলকাতা রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার আশিস মিদ্দা।
তাঁর কথায়, ‘‘আমরা তিনদিনেই তৎকাল পাসপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। শীঘ্রই সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে খুব প্রয়োজন না হলে তৎকাল না করে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করাই ভাল। তাও এখন দিন দশেকের মধ্য়েই স্লট পাওয়া যায়। তৎকাল পাসপোর্টে খরচও হাজার দুয়েক টাকা বেশি লাগে।’’ একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, পাসপোর্ট মেলা হচ্ছে পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্রগুলিতে। সেখানেও ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর আবেদন, কারও দ্বারা তাঁরা যেন প্রতারিত না হন। কোনও এজেন্সি, ট্রাভেল এজেন্ট, কেউ পাসপোর্ট অফিসের রেজিস্টার্ড নয়। তাই নিজেরা ফর্ম ফিলাপ করে স্লট বুক করে পাসপোর্ট করানোর আবেদন করেছেন সাধারণ মানুষের উদ্দেশে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় এবার রঘুরাম রাজন, রাহুলের সঙ্গে পা মেলালেন RBI-এর প্রাক্তন গভর্নর]
কাউকে বাড়তি টাকা দিয়ে নয়। পাসপোর্ট করতে অন্তত তিনটি আসল শংসাপত্র লাগবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, তৎকাল পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও পুলিশ ভেরিফিকেশনে যেতে দেরি করলে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। যখন পুলিশ যায়, ততদিনে হয়তো ওই ব্যক্তি বিদেশ চলে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বাড়ির লোককে তাঁর আসল পরিচয়পত্র দেখানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে মিদ্দার বক্তব্য, পাসপোর্ট অফিস থেকে বেরিয়ে ওই ব্যক্তি কাগজপত্র নিয়ে স্থানীয় থানায় গেলেই পুলিশি ভেরিফিকেশন সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যায়। আগে এই প্রক্রিয়াতে অনেকটা সময় লাগত। এখন অনলাইনে কোনও সমস্যা নেই। পাশাপশি করোনাকালে বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে ফের চালু হয়েছে পাসপোর্ট আদালত। বহু মানুষ আছেন, যঁারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সঠিক নথি সময়মতো জমা দিতে না পারায় তা ইস্যু করা যায়নি, এক্ষেত্রে আদালত খুলেছে পাসপোর্ট অফিস।
গত শনিবার থেকে কলকাতা রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে এই আদালত খোলা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে এমন অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৬০০০ পাসপোর্ট। তার মধে্য ৩৫০০ মতো পাসপোর্ট ইসু্য হয়ে গিয়েছে। যঁারা তথ্য দিতে পারবেন না তঁাদেরটা ক্লোজ করা হবে। একই সঙ্গে তথ্য বলছে, মানুষের মধে্য বিদেশ যাওয়ার আগ্রহ অনেক বেড়েছে। ৫.৬ লাখ পাসপোর্ট চলতি বছরেই ইসু্য হয়েছে বলে জানান তিনি।