সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোড়া ইতিহাস তৈরি হল বেনিটো মুসোলিনির দেশে। একদিকে যেমন ইতিহাসে প্রথমবার মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেল ইটালি (Italy)। তেমনই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় এই প্রথমবার চরম দক্ষিণপন্থী, বলা ভাল মুসোলিনিপন্থী সরকার গঠন হল সে দেশে। শনিবার শপথ নিয়েছেন ইটালির নয়া প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি।
শনিবার প্রেসিডেন্ট সের্গেও মাতরেল্লা নতুন প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনিকে শপথবাক্য পাঠ করান। ইতিমধ্যে নিজের মন্ত্রিসভাও গড়ে ফেলেছেন মেলোনি। মন্ত্রিসভায় রয়েছে ২৪ সদস্য। তাঁরা শপথ গ্রহণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন আবার কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। মন্ত্রিসভায় রয়েছেন ৬ মহিলা। রবিবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক ডেকেছেন মেলোনি।
[আরও পড়ুন: পরপর তিনবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সর্বেসর্বা, মাওয়ের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন জিনপিং]
অতি দক্ষিণপন্থী নেত্রী ও বেনিটো মুসোলিনির ভক্ত হিসাবেই পরিচিত জিওর্জিয়া মেলোনি। গত রবিবার ইটালির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে দেখা যায়, ইটালির সেনেটে ১১৪টি আসনে জয় পেয়েছে মেলোনি ও তাঁর জোট সঙ্গীরা। ইটালির দুই প্রাক্তন দক্ষিণপন্থী প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি ও মাত্তেও সালভিনির দলের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করছেন জিওর্জিয়া মেলোনি।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে জোট শরিকদের আস্থা হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন মারিও দ্রাঘি (Mario Draghi)। পতন হয় সরকারের। দেশের নতুন নেতা বেছে নিতেই নির্বাচন হয় ইটালিতে। সমগ্র ইউরোপব্যাপী দক্ষিণপন্থার বাড়বাড়ন্তের প্রভাব পড়ে ইটালিতেও। ইটালির রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট রক্ষণশীল নেত্রী হিসাবেই পরিচিত মেলোনি। বহুবার গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন তিনি। তাঁর অভিবাসন বিরোধী অবস্থান সবার জানা। এমনকী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও আলাদা হওয়ার পক্ষেই মত রয়েছে তাঁর। তবে কিছুদিন আগেই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মেলোনি বলেছিলেন, তিনি গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেবেন, কেউ যেন এমন আশঙ্কা না করেন। নানা ধরনের নেতিবাচক কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।