সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্ট মেয়েটির দু’চোখে স্বপ্ন সে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। কিন্তু ৭ বছরের একরত্তি প্রাণে বাসা বেঁধেছে বিরল অসুখ। আর তাই থমকে গিয়েছে সব স্বপ্নের উড়ান। কচি প্রাণে এখন কেবলই সেরে ওঠার আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু তার অসুখ এমন বিরল (Rare genetic disorder), যার চিকিৎসা প্রবল ব্যয়সাধ্য। এবার তাই দিল্লির ছোট্ট মেয়ে মাহি আরজি জানাল খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
একটি ভিডিও বার্তায় দিল্লির (Delhi) পুলিশকর্মীর কন্যা মাহি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কাছে আরজি জানাতে গিয়ে বলেছে, ”নমস্কার মোদিজি। আমার নাম মাহি। আমার বয়স ৭ বছর। আমার উচ্চতা বাড়ছে না। আপনি আমাকে সাহায্য করবেন। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই। আপনি আমার ওষুধের ব্যবস্থা করে দেবেন?” কচি গলায় হাতজোড় করে কাতর মিনতি মাহির।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় তৃণমূলপন্থী চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর! বিজেপির মন্ত্রীর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ]
কী হয়েছে ছোট্ট মেয়েটির? জানা গিয়েছে, সে এক বিরল জিনঘটিত অসুখে ভুগছে। যার নাম মরকিও সিনড্রোম। বাবা-মায়ের থেকেই এই অসুখ এসে পৌঁছয় সন্তানের শরীরে। অসুখের প্রকোপে শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দিতে থাকে। হাড়ের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে শিরদাঁড়া বেঁকে যেতে থাকে। শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হলে থমকে যায় উচ্চতাবৃদ্ধি। বাড়ে না ওজনও। সেই সঙ্গে শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে যায়। মাথা শরীরের তুলনায় বড় হয়ে যাওয়ায় দেখতেও অনেকটা বামনের মতো লাগে। নানা জটিলতা এসে ঘিরে ধরে শরীরকে। বিরল এই অসুখ প্রতি ২ লক্ষ জনের একজনের হয়।
এই সিনড্রোমের কোনও চিকিৎসা এদেশে নেই। ওষুধ আনাতে হয় বিদেশ থেকে। যার খরচ বিপুল। মাহির বাবা সুশীল কুমার মাসে বেতন পান ২৭ হাজার টাকা। এই রোজগারেও মেয়ের চিকিৎসায় ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। পরে পুলিশ দপ্তর থেকে আরও ১ লক্ষ টাকাও ঋণ নিতে হয়েছে। কিন্তু মাহিকে সারিয়ে তুলতে হলে প্রয়োজন আড়াই কোটি টাকার! যা সুশীলের মতো মধ্যবিত্তের কাছে রীতিমতো অকল্পনীয়। এবার তাই প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ সুশীলের পরিবার।