সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি ডি বিড়লার ছায়া এবার আলিপুর মাল্টিপারপাস স্কুলে। লজেন্সের লোভ দেখিয়ে কচিকাঁচাদের যৌন হেনস্তা করার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই এক রক্ষীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তর নাম রামেশ্বর সিং। নিগৃহীতারা বাড়িতে গিয়ে তাদের মা-বাবাকে এই অভিযোগ জানায়। অভিযোগ শোনার পরই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্কুল চত্বরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মূল অভিযুক্ত রামেশ্বরকে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। পরে আলিপুর থানার পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
[আর্তের সহায়তায় সদা প্রস্তুত, রাসবিহারীর মোড়ে নিত্য সেবায় গীতা দে]
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই স্কুল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৫-তেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছে রামেশ্বর। তখনও পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। আর কী বলছে মূল অভিযুক্ত? রামেশ্বর অবশ্য দাবি করছে, সে নিরপরাধ। তার নাইট ডিউটি থাকে। বাচ্চাদের গায়ে সে হাত দেয়নি। অভিভাবকরা অবশ্য এ কথা শুনতেই শুনতেই তাকে উত্তম-মধ্যম দিতে থাকে। তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মূল অভিযুক্ত ও তার ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে।
অভিযোগ, রামেশ্বর নাকি লজেন্সের লোভ দেখিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীদের গায়ে হাত দিত। এক অভিভাবকের অভিযোগ, মুখের জল ছাত্রীদের গায়ে ফেলে দিত সে। এক অভিভাবক প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আজকাল কেন কেউ বাচ্চাদের লজেন্স দেয় বলুন তো? আমরা কি কিছু বুঝি না? রামেশ্বরকে স্কুল থেকে তাড়াতে হবে।’ স্কুলের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পড়ুয়াদের মা-বাবারা। তাঁদের দাবি, স্কুলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। স্টাফ কোয়ার্টার থেকে যখন খুশি স্কুলে ঢোকা যায়। ৫ থেকে ১০ বছরের ছাত্রীরা রামেশ্বরের লালসা শিকার হত বলে সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরা। সম্প্রতি কয়েকজন শিশু বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের এ কথা জানালে আজ সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি।
[দুধ দিয়ে শোধন করা হবে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি, জানালেন দিলীপ]
The post ছাত্রীদের যৌন হেনস্তার অভিযোগে রণক্ষেত্র আলিপুর মাল্টিপারপাস স্কুল appeared first on Sangbad Pratidin.