সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাস্তব থেকে অনুপ্রেরণা পায় সিনেমার কল্পকাহিনি। আবার কখনও সিনেমার কল্পনাকেও হার মানায় বাস্তব। বিহারের বাসুকিনাথ ও কলকাতার কাজলের কাহিনিও ঠিক এরকম। ঘোড়ায় চড়ে পরিবারের পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন প্রেমিক। ঠিক সেই সময় নাটকীয়ভাবে প্রেমিকার আবির্ভাব। বিয়ের আসর থেকে সোজা শ্রীঘরে প্রেমিক। তারপরও হল মধুরেণ সমাপয়েৎ। কীভাবে?
শুরু থেকে শুরু করা যাক কাহিনি। তিন বছর আগে কলকাতায় কাজ করতে এসেছিলেন বিহারের বাসুকিনাথ। বেসরকারি ওই সংস্থায় কর্মী হিসেবে কাজ করতেন কাজলও। অল্প সময়েই প্রেম চরমে। প্রায় তিন বছরের সম্পর্কে দু’জনের। করোনা (CoronaVirus) কালে বিহারে ফিরে যান বাসুকিনাথ। সেখানে তাঁর পরিবার এক পাত্রীকে পছন্দ করে তাঁর বিয়ে ঠিক করে। মঙ্গলবার ছিল বিয়ের দিন। সবে ঘোড়ায় বসে বরযাত্রী নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাসুকিনাথ। আচমকা সামনে চলে আসেন কাজল। দু’জনের প্রেমের কথা সকলকে জানান। প্রমাণও দেখান। কিন্তু বাসুকিনাথের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
[আরও পড়ুন: ‘দেশের স্বার্থে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনতেই হবে’, ফের জল্পনা উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
উপায়ন্তর না দেখে স্থানীয় থানায় পৌঁছে যান কাজল। বাসুকিনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বাসুকিনাথকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে বাসুকিনাথের কাণ্ডকারখানা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিহারের কনের পরিবারও বিয়ে ভেঙে দেয়। ওই লগ্নেই অন্য কারও সঙ্গে সেই পাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়। বিপাকে পড়ে কাজলের স্মরণাপন্ন হয় বাসুকিনাথের পরিবার। বাসুকিনাথের সঙ্গে তাঁর বিয়ের প্রস্তাব দেন। থানার বাইরে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশের মধ্যস্থতায় সমঝোতাপত্রও সই করা হয়। বৃহস্পতিবার প্রেমিকার গলায় মঙ্গলসূত্র পরান বাসুকিনাথ। নতুন বউ নিয়ে ওঠেন বিহারের বাড়িতে। শেষ ভাল হলে সব ভাল হয়! এমনটাই এখন বলছেন বাসুকিনাথের প্রতিবেশীরা।