সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি লেডিজ হস্টেলের মহিলাদের নগ্ন হয়ে নাচতে বাধ্য করা হল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। গত ১ মার্চ জলগাঁও জেলায় এমনই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, এই ঘটনায় জড়িত হস্টেলকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানেই শেষ নয়, ঘটনার সময় পুলিশকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে! গোটা ঘটনার ভিডিও মোবাইলে তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় এখনও কারও বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়নি।
ঠিক কী ঘটেছিল? অভিযোগ, ঘটনার দিন পুলিশ ও এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জোর করে হস্টেলে ঢুকে পড়ে। তাদের দাবি ছিল, হস্টেলে কোনও অনৈতিক কাজ হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের বিধানসভার নিম্নকক্ষে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন এক বিজেপি বিধায়ক প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ”যেভাবে সরকারি লেডিস হস্টেলের মধ্যে মহিলাদের নগ্ন হয়ে নাচতে বাধ্য করা হয়েছে এবং তারপর সেটা ভিডিও করে রাখা হয়েছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। নারী সুরক্ষার দায়িত্ব পুলিশদের। কিন্তু তারাই এমন নির্লজ্জ কাণ্ডে জড়িত।”
[আরও পড়ুন: গুজরাটের পুরসভা এবং জেলা পঞ্চায়েতেও বিপুল জয় বিজেপির, গোধরায় খাতা খুলল AIMIM]
পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, ”রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে প্রাথমিক ভাবে কেবল বিষয়টি ‘নোটেড’ বলে উল্লেখ করলেন ও পরে জানালেন দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা দেখেও আমি হতাশ।” এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা সুধীর মিঙ্গান্তিয়ার দাবি করেছেন, যদি সরকার এই ধরনের ঘটনা ঘটাকে বন্ধ করতে না পারেন, তাহলে অবিলম্বে মহারাষ্ট্রে ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারি করা উচিত। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। এখন দেখার, সরকার এই ঘটনায় কত দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারে।