সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনে পড়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পাশফেল’ গল্পের কথা? সেই গল্পে নীরেন পাশ করেও আত্মহত্যা (Suicide) করেছিল। তামিলনাডুর (Tamil Nadu) এক যুবকের আত্মহত্যা নীরেনের কথাই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে চাকরি না থাকার যন্ত্রণার শেষে মিলেছিল ব্যাংকের চাকরি। কিন্তু তবু তিনি চলন্ত ট্রেনের সামনে লাফ দিয়ে শেষ করে দিলেন নিজের জীবন! সুইসাইড নোটে লিখে গেলেন, ঈশ্বরের কাছে জীবন ‘উৎসর্গ’ করার কথা।
তামিলনাডুর কন্যাকুমারী জেলার বাসিন্দা সি নবীনের বয়স ৩২। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। তাও মিলছিল না চাকরি। গত কয়েক বছর ধরে বেকার থাকার জ্বালায় ক্ষতবিক্ষত হতে হয়েছিল। অবশেষে অন্ধকার কেটে গিয়ে দেখা দিয়েছিল সোনালি রোদ। মুম্বইয়ের এক ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরি পান নবীন। কিন্তু প্রত্যাশিত সুখের সন্ধান পেয়েও নবীনের জীবন বিষাদ থেকে দূরে সরে থাকতে পারেনি। আসলে বেকার থাকতে থাকতে চাকরি পাওয়াটাই তাঁর কাছে হয়ে উঠেছিল জীবনের চরমতম প্রার্থনা। ঈশ্বরের কাছে তাঁর প্রতিজ্ঞা ছিল, চাকরি পেলে এই জীবন তিনি তাঁকেই উৎসর্গ করবেন।
[আরও পড়ুন : চুলোয় যাক বিহারের ভোট! প্রচারে না গিয়ে শিমলায় ছুটি কাটাচ্ছেন রাহুল, কটাক্ষ বিজেপির]
অতিমারীর ধাক্কায় বহু মানুষ গত কয়েক মাসে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বহু প্রতীক্ষিত চাকরি পেয়েও শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথই বেছে নেন নবীন। কয়েক সপ্তাহ চাকরি করার পর বৃহস্পতিবার তিনি বিমান ধরে তিরুঅনন্তপুরম পৌঁছন। তারপর মার্থান্দমে গিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাসে চড়ে যান নাগেরকয়েল। সেখান থেকে রাজাক্কমঙ্গলম ব্লকের পুথেরি গ্রামে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
শুক্রবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে তাঁর সুইসাইড নোট। পকেটে রাখা কাগজে নবীন লিখে গিয়েছেন, ‘‘আমাকে যিনি চাকরি দিয়েছেন, সেই ঈশ্বরের কাছে চললাম।’’