shono
Advertisement
Golf Green

খুনের পর দেহ লোপাট করে নিশ্চিন্তে ঘুম! গল্ফগ্রিনে কাটা মুন্ডু উদ্ধারের পরতে পরতে রহস্য

দেওয়ালে পুট্টি করার ধারালো ধাতব অস্ত্র দিয়ে দেহটি টুকরো করা হয়েছে। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নটার মধ্যে মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 01:03 PM Dec 15, 2024Updated: 01:18 PM Dec 15, 2024

অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: গল্ফগ্রিনে কাটা মুন্ডু উদ্ধারের ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। ধৃত আতিউর লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যা যা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা, তাতে রীতিমতো চমকে উঠছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, গত ১২ তারিখ মৃত খাদিজাকে সঙ্গে নিয়ে রিজেন্ট পার্কের নির্জন এলাকায় এক পরিত্যক্ত বাড়িতে যায় আতিউর। সেখানে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়। মহিলাকে ধাক্কা মারে সে। দেওয়ালে তাঁর মাথা ঠুকে যায়। ব্যাপক আঘাত লাগে। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে খাদিজার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে আতিউর। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নটার মধ্যে মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও এমনটাই জানানো হয়েছে।

Advertisement

তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন, খুনের পর রাতে খাদিজার দেহ তিন টুকরো করে আতিউর। দেওয়ালে পুট্টি করার ধারালো ধাতব দিয়ে সেই কাজ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। যে বস্তায় রংয়ের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে আসত আতিউর, সেই বস্তায় দেহাংশগুলি ভরা হয়। এর পর ভোর তিনটের দিকে বস্তায় ভরা দেহাংশ নিয়ে গিয়ে গল্ফগ্রিন ও রিজেন্ট পার্কে এলাকায় ফেলে দেয়। প্রথমে মুন্ডু আলাদা প্লাস্টিকে মুড়ে বস্তায় ভরে গল্ফগ্রিনে জঞ্জালের স্তূপে ফেলে আতিউর। বাকি দেহাংশ বস্তায় ভরে রিজেন্ট পার্ক কলোনি এলাকায় নির্মীয়মাণ বাড়ির জলাশয়ের কাছে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ভোর তিনটের মধ্যে সমস্ত কাজ সেরে ফেলে 'খুনি' আতিউর। তারপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। রিজেন্ট পার্কের যে আবাসনে কাজ করত, সেখানেই ফিরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছিল।

 

নৃশংসভাবে নিজের শ্যালিকাকে খুনের পরও আতিউরের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা ছিল না! সিট সদস্যরা জানতে পেরেছেন, খুনের পরের দিন রংয়ের কাজ সেরে সন্ধের পর সে ডায়মন্ড হারবারের পঞ্চগ্রামের বাড়িতে ফেরে। রাতেই সিট সদস্যরা তার বাড়িতে গিয়ে আটক করে আতিউরকে। টানা জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করে তদন্তকারীদের সামনে ভেঙে পড়ে খুনি।

জানা যাচ্ছে, ডায়মন্ড হারবারে পারুলিয়া গ্রামে খাদিজা বিবির বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মগরাহাটে পৈলানপাড়া গ্রামে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন তিনি। রিজেন্ট পার্ক ও গল্ফগ্রিন এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। ট্রেনে করে শহরে কাজে আসতেন। ওই একই ট্রেনে জামাইবাবু আতিউরও কাজে আসে। সে রংমিস্ত্রি। প্রতিদিন দুজনেই কাজ সেরে আবার একই ট্রেনে বাড়ি ফিরে যেত। আতিউর খাদিজার ছোটবোনের স্বামী। এদিন ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা জানান, খাদিজার প্রেমে পড়েছিল আতিউর। অনেকদিন ধরে তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। কিন্তু খাদিজা সাড়া দেননি। সম্প্রতি জামাইবাবুর মোবাইল নম্বরও ব্লক করে দিয়েছিলেন খাদিজা। তাতে আরও খেপে ওঠে আতিউর। যার জেরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গল্ফগ্রিনে কাটা মুন্ডু উদ্ধারের ঘটনার পরতে পরতে রহস্য!
  • খুনের পর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিল 'খুনি' আতিউর, জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
  • দেওয়ালে পুট্টি করার ধারালো ধাতব অস্ত্র দিয়ে দেহটি টুকরো করা হয়েছে।
Advertisement