ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালিত হোক একটি নির্দিষ্ট দিনে। কিন্তু তা কখনওই বিজেপির পছন্দের ২০ জুন নয়। তাদের দেখাদেখি ওই দিনটি পালন করেন রাজ্যপাল নিজে। চলতি বছর রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) দিনটি পালন করেছেন। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে।
এবার তার জন্য বিকল্প দিন ঠিক করতে আলোচনা চাইল সরকার। সেই আলোচনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস নির্ধারণ কমিটি’ তৈরি করে দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। শুক্রবার তাদের প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে। সোমবার আরেক দফায় আলোচনা হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, তার পরই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালনের জন্য রাজ্যপালের বিরুদ্ধে চলতি অধিবেশনে ১৮৫ ধারায় প্রস্তাব আনবে সরকারপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ময়দানে নেমে লড়াইয়ের ‘পুরস্কার’, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে TMCP ইউনিটের সভানেত্রী রাজন্যা]
অধ্যক্ষের আহ্বানে এদিন বৈঠকে বসেছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), ফিরহাদ হাকিম, শিউলি সাহারা। আলোচনায় তিনটি বিকল্প দিনের কথা এসেছে। ব্রাত্য যেমন বলেছেন, ১ বৈশাখ বাংলা বছর শুরুর প্রথম দিন হোক পশ্চিমবঙ্গ দিবস। ফিরহাদ ২৮ মে তারিখটি উল্লেখ করেছেন। রাজ্যের নাম ‘বঙ্গ’ বা ‘বাংলা’ হিসাবে তুলে ধরে বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হয়েছিল ওই তারিখে। শিউলি সাহার আবার প্রস্তাব দিনটি হোক দেশের স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ১৫ আগস্ট। ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ নিয়ে ভাগাভাগির রাজনীতির অভিযোগ বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বরাবরের। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে ২০ জুন তারিখটিকে বারবার তুলে ধরতে চেয়েছে বিজেপি। ১৯৪৭ সালের এই দিনে মূলত, রাজ্য বিধানসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলাকে ভাগ করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। ইতিহাসবিদদের বড় অংশ মনে করেন ওই দিনটি তাই বাংলার মানুষের কাছে লজ্জার, দুঃখের। শাসকদলও বাংলার মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছে।
[আরও পড়ুন: ৪০ টাকা কেজি দরেই মিলবে টমেটো, মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে জানাল মোদি সরকার]
বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে এই কমিটির সদস্য করা হলেও এদিন বৈঠকে আসেননি টিগ্গা। অন্যদিকে, ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে বিধানসভার বিএ কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। নওশাদ দাবি করেছেন, তাঁকে এবার সর্বদলীয় কমিটিতেও জায়গা দেওয়া হোক। তাঁর দলের তরফ থেকে তিনি একমাত্র বিধায়ক। সেই কারণে নির্বাচিত হওয়ার এতদিন পর তিনি ওই কমিটিতে জায়গা পেলেন।